ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ও ডাকসুর সাবেক জিএস গোলাম রাব্বানী যমুনা গ্রুপের পরিচালক পদে যোগদান করেছেন। এটি বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প গ্রুপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। গত ১৬ জুলাই রাতে তার ভেরিফায়েড আইডি থেকে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন গোলাম রাব্বানী।
গোলাম রাব্বানী দেশের অন্যতম শিল্প গ্রুপ যমুনা গ্রুপে পরিচালক (কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স প্রধান) হিসেবে যোগ দিয়েছেন। একটি জাতীয় দৈনিককে ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলেন, কেন তিনি কর্পোরেট জীবনে এসেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী বলেন, আমি সবসময় চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। এটি (যমুনা গ্রুপ) দেশের বৃহত্তম শিল্প গ্রুপ। ৪১টি উদ্বেগ রয়েছে। কাজের মধ্যে অনেক বৈচিত্র্য, সুযোগ দেওয়ার, শেখার সুযোগ রয়েছে। আমি এভাবেই দেখতে চাই, যেহেতু আমি রাজনীতি করেছি, রাজনীতি আমার নেশা। তাই আমার ক্যারিয়ার থাকতে হবে, আমার আয়ের উৎস থাকতে হবে। তিনি বলেন, রাজনীতিতে দেব, রাজনীতিতে নেওয়ার কিছু নেই। রাজনীতি হলো দেশ সেবা এবং জনগণের সেবা। এতটুকুই বুঝি। আমার আদর্শবান পিতা বঙ্গবন্ধু, তিনি রাজনীতির পাশাপাশি চাকরি ও ব্যবসা করতেন। তাই এটা করতে হবে। সেই জায়গা থেকে মনে হলো এটাই সময়।
তিনি তার নতুন চাকরি উপভোগ করছেন জানিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলেন, আমি একটি সামাজিক সংগঠন, টিম পজিটিভ বাংলাদেশ। দেশে ছড়িয়ে পরা মহামারি রোগের সময় কাজ করতাম। যত দিন যাচ্ছে এর পরিধি বাড়ছে, ততই বাড়ছে মানুষের প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে, ভালো কাজ করতে দিন শেষে টাকার প্রয়োজন। সেই জায়গা থেকেই আমি নিজের ব্যবসা শুরু করি। তবে এটা তো শুরু, সময় লাগবে। যমুনার মতো বড় প্রতিষ্ঠিত দলের সঙ্গে থাকলে শিখতে পারি। এছাড়া রাজনীতিতে যে সমর্থন দেওয়া হয়, তাও থাকবে। সব মিলিয়ে আমার জায়গা থেকে কিছু শিখতে এবং দিতে এখানে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ আমি উপভোগ করছি, ভালো লাগছে।
গোলাম রব্বানী বলেন, আমি বুঝি রাজনীতিতে আমি আমার মেধা, শ্রম, শক্তি, অর্থ-সম্পদ, প্রভাব-প্রতিপত্তি, আল্লাহ আমাকে যা কিছু দিয়েছেন, তা-ই দেবেন- যদি আমি একজন মানুষের উপকার করতে পারি। উপকার করতে পারি। দেশ বা সমাজ। আমি পারি, এটাই আমার সাফল্যের মাপকাঠি। কে ৫০ বছর রাজনীতি করেছে তাতে কিছু যায় আসে না। কে কতজন উপকৃত হয়েছে, ব্যক্তি হিসেবে তিনি কোন অবস্থানে গিয়েছেন তা বিবেচ্য নয়। তার মাধ্যমে দেশ ও জনগণ কতটা উপকৃত হয়েছে, রাজনীতির সাফল্য-ব্যর্থতার একমাত্র মাপকাঠি, দেশের মানুষের জন্য কী দিতে পেরেছি, কী করতে পেরেছি।
উল্লেখ্য, গোলাম রাব্বানী বলেন, যমুনা গ্রুপের ৪১টি উদ্বেগ রয়েছে। তাদের ব্যবসা, উন্নয়ন, গবেষণা এবং অন্যান্য বিষয় দেখাশোনা করা আমার দায়িত্ব। বলা যায় পরিচালক, অ্যাডমিনের কাজ আমাকেই করতে হবে। এছাড়াও অন্যান্য জিনিসগুলোতো আছেই। কিন্তু আমি এখানে যোগ দিয়েছি এই শর্তে যে আমাকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়া হবে।