১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালে এই দেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। সম্প্রতি বাংলাদেশ এই স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে নানা ধরনের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ সরকার। এমনকি দেশের সকল মানুষকে জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে প্রস্তুতি নিতে দেশের সকল মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।।
এবার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে শপথ পড়বেন সবাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ শপথ পড়াবেন। বিভাগীয় জেলা, জেলা ও উপজেলা স্টেডিয়াম ও বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যু থেকে সাধারণ মানুষ জাতীয় পতাকা হাতে শপথ বাক্য পাঠ করবেন। শপথ অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) চিঠি পাঠিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। শপথ অনুষ্ঠানের একটি সম্ভাব্য কর্মসূচি পাঠিয়ে নির্দেশনার চিঠিতে জানানো হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে অবিলম্বে বিস্তারিত গাইডলাইন পাঠাবে। এতে বলা হয়, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে শপথ অনুষ্ঠান আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে বিকেল ৪টায় সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। দেশব্যাপী সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এ শপথে অংশ নেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ বাক্য পাঠ করাবেন। জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা থেকে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি সারাদেশের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন। সব বিভাগ/জেলা/উপজেলা স্টেডিয়াম/মহান বিজয় দিবসের নির্ধারিত ভেন্যুতে শপথ অনুষ্ঠানটি আয়োজনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিঠিতে। বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে শপথ নেওয়া যাবে। অন্যান্য স্থান সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠান অনুসরণ করবে। এসময় শপথ গ্রহণকারীরা জাতীয় পতাকা হাতে শপথ নেবেন বলেও চিঠিতে জানানো হয়। ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শিরোনামে আগামী ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান হবে। এতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ উপস্থিত থাকবেন। গত ২ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সভা শেষে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তি ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের মানুষকে শপথ পড়াবেন।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্জন করেছে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে অর্জন করেছে বিশেষ স্বীকৃতি। এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হয়েছে। অবশ্যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে বিশেষ ভাবে কাজ করছে।