মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে ওয়াশিংটন যাচ্ছেন। কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
পিটার হাসের সকাল ১১টায় ঢাকা ছাড়ার কথা থাকলেও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করতে পারেন বলে জানা গেছে।
তবে হঠাৎ করে ঢাকা ছাড়ার কারণ জানা যায়নি।
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরেই মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে দৌড়ঝাঁপ করতে দেখা গেছে। তাকে অবতার বলেও আখ্যায়িত করেছে বিএনপি। আর আওয়ামী লীগ বারবার বলে আসছে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির পক্ষে কাজ করছে। তবে বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক শেষে পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে নয়।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশের জন্য স/হিংসতা কমানোর পাশাপাশি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপের সুযোগ খুঁজতে আমরা সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
পিটার হাস বলেন, “এছাড়াও, আমি ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক স/হিংস বক্তব্যের বিষয়টি তুলে ধরেছি। যা কয়েকদিন আগে আমাদের প্রধান উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেলও বলেছিলেন। আমি এটাও বলেছি যে এই বক্তব্য কতটা উদ্বেগজনক। আমাদের এবং আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেন ডোনাল্ড লু।
চিঠিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করে। নিঃশর্ত সংলাপেরও আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ চিঠি নিয়ে সচিবালয়ে যান মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সেখানে তিনি সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে চিঠি দেন।
এর আগে বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দেন পিটার হাস।
এদিকে বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। এর একদিন পর বৃহস্পতিবার পিটার হাসের ঢাকা ত্যাগ নিয়ে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক অঙ্গনে আবারো নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।