দীর্ঘ বিচারিক জীবনের পর অবসরে গেলেন দেশের ২৩তম প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার ছিল প্রধান বিচারপতির বিচারিক জীবনের শেষ কার্যদিবস।
এদিন আপিল বিভাগের আদালত কক্ষে বিদায়ী সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। প্রধান বিচারপতি হিসেবে তার শেষ বিচার দিবসে বাবা-মায়ের স্মৃতি ও বিচার বিভাগ ছেড়ে যাওয়ার কথা ভেবে কেঁদেছেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বক্তব্য দেওয়ার সময় এ আবেগঘন দৃশ্য ঘটে। প্রধান বিচারপতি যখন কাঁদছিলেন, তখন তার মেয়ে, নাতিসহ আদালতে উপস্থিত স্বজনদেরও কাঁদতে দেখা যায়।
বক্তব্যের একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, বিদায়ের এই মুহূর্তে আমি আমার প্রয়াত বাবা-মাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি। আমার এবং আমাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যের জন্য অপরিসীম কষ্ট এবং ত্যা/গ করেছেন। আমার সংগ্রামে তারা আমাকে সাহায্য করেছে।
এ কথা বলে প্রধান বিচারপতি আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। এক মিনিট কথা বলতে পারেননি। এ সময় আদালত কক্ষে উপস্থিত প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে, নাতি ও ছোট মেয়ের জামাইকেও কাঁদতে দেখা যায়। কিছু সময়ের জন্য পুরো আদালতের পরিবেশ নিস্তব্ধ হয়ে যায়।
এরপর আবেগঘন কণ্ঠে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি বিচার বিভাগকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম বেশি এবং স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সকল বিচারপতি, বিপুল সংখ্যক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আদালত কক্ষে তিল ধারণের জায়গা ছিল না।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর বঙ্গভবনে বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী প্রধান বিচারপতি হিসেবে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শপথ বাক্য পাঠ করান।