আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের অতীতের মতো দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
সোমবার সকাল ১১টায় বগুড়ার শেরপুরে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে পালিয়ে আসা দু/র্বৃত্তদের হাতে নি/হত বিএনপি নেতা আব্দুল মতিনের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, “শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এটা আমাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। তাই যারা দলের এই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে রুহুল কবির রেজভী উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের মান্দাইলে আব্দুল মতিনের গ্রামের বাড়িতে যান। পাশাপাশি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান এবং নিহতের স্ত্রী লাইলী বেগমের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপি নেতা শহিদুর রহমান শহীদ, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম মিন্টু, বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলী আহমদ, স্থানীয় বিএনপি নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, জহুরুল ইসলাম, আব্দুল মজিদসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এছাড়া নিহতের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছেলে মিলন রহমান, মেয়ে মৌসুমী আক্তার, জামাতা নাজিমউদ্দিন নাজুসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রেজভীসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ মরহুম আব্দুল মতিনের কবরে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৪ নভেম্বর শেরপুরে পুলিশ-আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে ত্রিমুখী সং/ঘর্ষ হয়।পরদিন ১৫ নভেম্বর আব্দুল মতিনসহ স্থানীয় বিশালপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও একই ইউনিয়নের মান্দাইল গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা বিএনপির ৬৭ জনের নামে পুলিশের ওপর বি/স্ফোরণ ও হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়। এরপর থেকে সে গ্রেফতারের ভয়ে ধানক্ষেতসহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতো। ২২ নভেম্বর রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা তাকে পিটিয়ে ধারালো অ/স্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে। গত ২৩ নভেম্বর ভোরে বাড়ির পাশের ফসলের ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মা/রা যান বিএনপি নেতা আব্দুল মতিন।