Tuesday , December 24 2024
Breaking News
Home / Countrywide / হঠাৎ উত্তাল অবস্থার মধ্যে যে কারনে ঢাকা আসছে ইইউ প্রতিনিধি দল

হঠাৎ উত্তাল অবস্থার মধ্যে যে কারনে ঢাকা আসছে ইইউ প্রতিনিধি দল

ন্যূনতম মজুরি নিয়ে গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলনের এই সময়ে দেশের শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে ঢাকায় আসছে ইইউর একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল। কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনির নেতৃত্বে দলটি ১২ নভেম্বর থেকে ঢাকায় তাদের আনুষ্ঠানিক সফর শুরু করবে, যা ১৭নভেম্বর পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে। ৫ দিনের ওই সফরে তারা গুরুত্বপূর্ণ বেশ ক’টি বৈঠক করবে।

যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ১৫ নভেম্বর শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (৩ জন সচিব) সমন্বয়ে গঠিত কমিটির সঙ্গে বৈঠক। এছাড়া তারা আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি, শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলবেন।

এসব বৈঠকে শ্রমিক অসন্তোষ, শ্রম খাতের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিয়মিত সফরে বাংলাদেশের গৃহীত শ্রম খাত উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি দেখতে আসছেন ইইউ প্রতিনিধি দল। কিন্তু তারা এমন এক সময়ে ঢাকার মাটিতে পা রাখছেন যখন বাংলাদেশের রাজনীতি ও শ্রমক্ষেত্রে নানা ঘটনা ঘটছে। বিরোধী দল হরতাল-অবরোধ পালন করছে।

মামলা এবং গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে বিরোধীদের দৌড়ের ওপর রেখে সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইইউ প্রতিনিধি দলের আসন্ন সফর, যা অত্যন্ত সময়-সংবেদনশীল, শ্রম-পরবর্তী সংস্কার, শিশুশ্রম বিলোপ এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে সব ধরনের সহিংসতা দূরীকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সেখানে ন্যূনতম মজুরির দাবিতে পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের আন্দোলনের বিষয়টি সঙ্গত কারণেই আলোচিত হবে।

তাছাড়া শ্রমিকদের অধিকার, সব ধরনের সহিংসতা বন্ধ, নিপীড়ন, হ”য়রানি, অন্যায্য শ্রম নির্মূল, ইউনিয়ন বিরোধী কার্যকলাপ প্রতিরোধ, শ্রমিকদের ন্যায্য ট্রেড ইউনিয়নের সুযোগ প্রদান, ন্যূনতম মজুরি এবং বাধ্যতামূলক শ্রম বন্ধের মতো বিষয়গুলিও হতে পারে। উল্লেখ্য যে শ্রম সেক্টরের উন্নয়নের জন্য ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান বা এনআইপি ২০২১ সালে গৃহীত হয়েছিল শ্রম অধিকার এবং কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আইনি ও প্রশাসনিক সংস্কারের ধারাবাহিকতা হিসেবে। আইএলও এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরা ২০২৬ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে।

About bisso Jit

Check Also

ভারতের গণমাধ্যমে প্রতিবেদন ফাঁস, বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা

ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *