আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ষড়যন্ত্রের’ বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘বিএনপি ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ২৮ অক্টোবর তথাকথিত জনসভার নামে জনমনে ভীতি সঞ্চার করছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিকামী জনগণের পাশাপাশি বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সতর্ক অবস্থান নেবে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রগতি ও স্থিতিশীল পরিবেশ কোনোভাবেই বিঘ্নিত হতে দেবে না আওয়ামী লীগ নেতারা। জনগণের স্বাধীনতা, মুক্তি ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মী আত্মাহুতি দিয়েছেন। এবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির যাত্রাকে সমুন্নত রাখতে যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি ও মূল্যবোধকে সম্মান করে। দেশের সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুযায়ী যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবার অংশগ্রহণে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি। কিন্তু বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছে। তারা উসকানি দিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির ধাপ চালাচ্ছে। বিএনপি যে কোনো উপায়ে ক্ষমতা দখলে নিষ্ক্রিয় করছে। বিএনপির এই নিষ্ক্রিয়তার কারণে গণতান্ত্রিক সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হলে তার দায় বিএনপিকেই নিতে হবে।
এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি নেতারা বারবার তাদের বক্তৃতা ও বিবৃতিতে বাড়াবাড়ি দেখাচ্ছে- যা স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের জন্য হুমকি। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, তাই তারা যে কোনো খেলা খেলতে পারে। দেশ ও জনগণ।তারা আজ বিদেশী প্রভুদের করুণা ভিক্ষা করছে, রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের জন্য নির্লজ্জ কাউকে ‘ভগবান’ বলে মেনে নিয়ে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাংবিধানিক শাসনকে নস্যাৎ করে অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পথ তৈরি করছে। দেশের সংবিধান ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন রাখতে বদ্ধপরিকর।