৮ নভেম্বর মহাসমাবেশকে কেন্দ্র্র করে সারাদেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা অনেকটা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। হামলা মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী বাড়ি ছাড়াই এলাকার বাইরে রয়েছেন। আন্দোলনে রাজপথে দেখা যাচ্ছে না দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের। গ্রেফতার আতঙ্কের মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রহুল কবির রিজভীকে হরতাল অবরোধ করতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পিকেটিং করতে দেখা যায়। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের বেশির ভাগই গা ঢেকে রেখেছেন। কেন্দ্রীয় নেতার অনুপস্থিতিতে যুবদল স্বচ্ছসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনকে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে রাজধানীতে পিকেটিং করতে দেখা যায়। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের অনুপস্থিতিতে আন্দোলন তার গতি হারাতে শুরু করেছে বলে মনে করছেন অনেকে। বিগত দিনের মতো ঢাকার নেতাদের ব্যর্থতায় আন্দোলন ব্যর্থ হতে পারে বলে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে শঙ্কা রয়েছে।
এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে দলটির হাইকমান্ড গা ঢাকা দেওয়া নেতাদের বের হয়ে এসে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান বলেছেন, বিএনপি কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড দল নয়। তাই পেছন থেকে আন্দোলন নয়। আমরা শিগগিরই গণগ্রেফতার হতে রাজপথে নামব।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক বলেন, ববনে জঙ্গলে আমাদের নেতাকর্মীদের রাত কাটাতে হচ্ছে। হাজার হাজার শত শত মামলা কাধে নিয়ে যারা কোর্ট হাজিরা দিচ্ছে তারা আরো শক্তিশালী ও উজ্জিবিত হয়েছে। আমাদের আন্দোলন এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে। বিজয় খুব সন্নিকটে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহাবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, ২৮ তারিখের ঘটনার জন্য নেতাকর্মীরা অপ্রস্তুত ছিল। ধীরে ধীরে দলটি সারা দেশে সংগঠিত হয়েছে। আন্দোলন আরও তীব্র হবে। আর নেতাকর্মীরা দৃশ্যমান হবে।
জানা গেছে, এই আন্দোলনে যাদেরকে প্রকাশ্যে দেখা যাবে না বা আন্দোলনে যাদের নিস্ক্রিয়তা দলের কাছে প্রতিয়মান হবে এসব নেতাদের ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থান নেবে বিএনপির হাইকমাণ্ড। সেক্ষেত্রে যে কোনো নির্বাচনে দলের মনোনয়নের বিষয়টি পূর্ণ মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত নেবে।