ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ফলে পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগের মিছিল-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুবলীগ কর্মী আসাদুজ্জামান হ/ত্যাকে ঘিরে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সোমবার ১৪৪ ধারা জারি করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সোমাবার এলাকায় ঝাড়ু মিছিলের কথা ছিল। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের থাকায় আ/ইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে এমন আশঙ্কায় থানার ওসি লিখিত আবেদন করেন। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার রাতে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম তার ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দেন। এতে বলা হয়, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের আওতাধীন মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল স্থগিত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
তবে যুবলীগ কর্মী আসাদ হ/ত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে সোমবার পূর্বঘোষিত ঝাড়ু মিছিলের প্রস্তুতি নেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। কিন্তু প্রশাসন তাদের মিছিল করতে দেয়নি।
মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এরপরও লোকজন জড়ো হলে তাদের নিরাপদে চলে যেতে বলা হয়। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মুক্তাগাছা উপজেলায় আওয়ামী লীগ দুই ধা/রায় বিভক্ত। একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আকন্দ। দলের তৃণমূলের একটি বড় অংশ তার সঙ্গে রয়েছে। অপর গ্রুপের নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তার সঙ্গে রয়েছেন পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার। দীর্ঘদিন ধরেই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত পাঁচ মাসে বিভিন্ন যানবাহন স্ট্যান্ডে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, মারামারি, টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন ঘটনায় একাধিক মামলা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট রাতে যুবলীগ কর্মী আসাদকে পিটিয়ে হ/ত্যা করা হয়। এর আগে গত ৭ জুলাই তাকে মা/রধর করা হয়। এ সময় তিনি যুবলীগ সভাপতি মনিরের কয়েকজন অনুসারীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর পক্ষ আসাদের বিরুদ্ধে মামলাও করে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে আসাদ হ/ত্যার ঘটনায় তৈয়ব হাসান আনন্দ বাদী হয়ে মনিসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। পুলিশ ৩ জনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।