শ্রীলঙ্কায় লাখ লাখ মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে শনিবার সারাদেশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সাত দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দেশে বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির কারণে জ্বালানি, ওষুধ ও সারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানি করা সম্ভব হচ্ছে না।
যাইহোক, এই দ্বীপের দেশটি আজকাল তুলনামূলকভাবে শান্ত। কিন্তু ব্যাপক বেকারত্ব এবং দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান প্রভাব এখনও অনেক পরিবারে দৃশ্যমান।
তবে ধীরে ধীরে এই সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা। তার মধ্যে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটকে বড় ধাক্কা মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সারা দেশে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাহত হয়েছে, এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
পাবলিক ইউটিলিটি কমিশনের চেয়ারম্যান জনকা রত্নায়েকে বলেন, “আমরা সরকারকে অনুরোধ করেছি প্রায় ১৩ লক্ষ সরকারি কর্মচারীকে আগামী দুই দিনের জন্য বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার জন্য যাতে তারা জ্বালানি ও বিদ্যুতের ঘাটতি মেটাতে আরও ভালভাবে কাজ করতে পারে।”
এজেন্সির মুখপাত্র নোয়েল প্রিয়ন্তা বলেছেন, শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিদ্যুৎ কোম্পানি সিলন ইলেকট্রিক পাওয়ার ব্যুরোর ইঞ্জিনিয়াররা বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে।