Wednesday , November 13 2024
Breaking News
Home / Countrywide / হঠাৎই বিএনপির চলমান সমাবেশে পুলিশের হানা; গুলি,কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ

হঠাৎই বিএনপির চলমান সমাবেশে পুলিশের হানা; গুলি,কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার কারণে তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে বিএনপি। যদিও আইনি বিভিন্ন বাধাঁয় সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ নিয়ে চলছে দেশের সব জায়গাতেই উত্তেজনা। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তবে আজ হবিগঞ্জে বিএনপি’র সম্মেলনে গুলিবর্ষণ ও গ্যাস নিক্ষেপ এর মতো ঘটনা ঘটেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে হবিগঞ্জে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশ লক্ষ্য করে পুলিশের মুহুর্মুহু গুলি ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপে অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া গুরুতরভাবে আহত জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান, কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, অ্যাডভোকেট গুলজান খানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের গুলি ও কাদানে গ্যাসে বিএনপির সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, বিরোধী দলের সাবেক চিফ হুইপ জয়নাল আবেদীন ফারুক, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মুক্তাদির, ড. এনামুল হক, ডাক্তার সাখাওয়াত হাসান জীবন, যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল ইকবাল হোসেন শ্যামল, বিএনপি নেত্রী শাম্মি আক্তার।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গাউছ জানান, আমরা সমাবেশের জন্য নিয়মতান্ত্রিকভাবে আবেদন করেছি। কিন্তু আমাদেরকে অনুমোদন দেয়া হয়নি। আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ চার দিক থেকে এবং বিভিন্ন উঁচু ভবনের ছাদ থেকে বৃষ্টির মতো গুলি বর্ষণ এবং কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করতে থাকে। তাতে আমার বাসার শিশু মহিলাসহ সবাই কাদানে গ্যাসে আক্রান্ত হয়। আমার বাসায় আশ্রয় নেতা নেতাকর্মীরাও আহত হয়।

বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম জানা, পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমানের চোখসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীর অঙ্গহানীর ঘটনা ঘটেছে। দুপুর ১টা থেকে গুলিশের গুলি কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ চলে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। পুলিশের হামলার পর বিকেল বেলা বিএনপি নেতারা তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের হামলার নিন্দা জানান।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দৌস মোহাম্মদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ট করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তা সম্ভব হয়নি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ বিএনপি নেতা জিকে গউছের বাসভবনটি ঘিরে রাখতে দেখা গেছে।

অনুমতি দেয়নি তবুও বিএনপির সমাবেশ করেছে, তবে সেটা রোধ করতে গুলিবর্ষণ করা লাগবে! এমন প্রশ্ন নানান মানুষের মন ঘিরে রয়েছে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার পরে ওই থানায় কর্মরত ওসির সঙ্গে কোন ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি। কী উদ্দেশ্যে গুলি চালানো হয়েছে সে ব্যাপারেও কোনো খবর পাওয়া যায়নি। হয়তো ইনচার্জ অফিসারের সাথে কথা বললে জানা যেত কি কারণবশত তারা গুলি এবং গ্যাস ছাড়ার মতো নির্দেশ দিতে বাধ্য হল।

About Ibrahim Hassan

Check Also

কাল নিলেন উপদেষ্টার দায়িত্ব, আজ হলেন আসামি: যা বললেন বশির উদ্দিন

নতুন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন নিজের নামে মামলা প্রসঙ্গে বলেন, “আমি পুরো বিষয়টি স্পষ্ট …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *