ভারত-বাংলাদেশ প্রতিবেশী দুই দেশ। বাংলাদেশের অধিকাংশ সীমান্ত ঘেরা ভারতের সীমান্ত ঘেরার সঙ্গে। এই দুই দেশের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক রয়েছে। তবে সম্প্রতি হঠাৎ করেই এবার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কঠোর নিরাপত্তা জোড়ালো করেছে ভারত। এমনকি সেখানে দায়িত্বে রাখা হয়েছে নারী সীমান্ত রক্ষী। এমনিতেই বেশ কিছু দিন ধরে সীমান্তে নতুন আইন পাস করাকে কেন্দ্র করে নানা ভাবে প্রশ্ববিদ্ধ হয়েছে ভারত সরকার। এরই মধ্যে এমন কান্ডকে ঘিরে চলছে ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা।
বিএসএফ কর্মকর্তারা জানান, নারীরা প্রায়শই সীমান্ত অতিক্রম করেন এবং ভারতে পা/চারে/র সঙ্গে জড়িত থাকেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ জন্য নারী পা/চা/র/কারীদের হাত থেকে সীমান্ত সুরক্ষায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। রোববার (০২ জানুয়ারি) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘মিন্টর’ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিএসএফ কনস্টেবল সুহাসিনী পুহান বলেন, এটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত শুরুর পয়েন্ট। সীমান্তের ওই পাশে একটি গ্রাম আছে, যেটির আংশিকভাবে ভারতের অন্তর্গত। ওই গ্রামে ৫৬ জন নারী বাস করেন যারা প্রায়শই উভয় দেশ ভ্রমণ করেন। ভারতে প্রবেশের আগে নারীদের তল্লাশির জন্য সীমান্তে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আর ও বলেন, ওই গ্রাম থেকে মাত্র কয়েক মিটার দূরত্বে বাংলাদেশের সীমান্ত। এই গ্রামের বেশকিছু বাসিন্দা অবৈধ কার্যকলাপে জড়িত, যার কারণে আমাদের দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ওই গ্রামের নারীরা যেন ভারতে কোনো কিছু পাচার করতে না পারেন, তাই আমরা তাদের তল্লাশি করি। মিন্ট’র প্রতিবেদনে জানানো হয়, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের হরিদাসপুর-জয়ন্তীপুর বর্ডার ফাঁড়িতে ৩৬ জন নারী কনস্টেবল মোতায়েন করা হয়েছে। এই সীমান্তের কিছু অংশে কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় এখানে টহল পরিচালনা বড় উদ্বেগের কারণ।
এমনিতেই ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে প্রায় সময় ভারতের রক্ষী বাহিনীরা বাংলাদেশীদের নি/র্যা/ত/ন-নি/পী/ড়/ন করছে নানা ভাবে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশীদের গু/লি করে হ/ত্যা করছে। তবে এই সংকট নিয়ে বেশ কয়েকবার দুই দেশ বৈঠক করেছে। এবং ভারত এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও এমন ঘটনা ঘটছে। তবে আবারও দুই দেশ বৈঠক করেছে। এবং চূড়ান্ত ভাবে এই সংকট নিরসনে দুই দেশই নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।