বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতার গদি থেকে না হটানো পর্যন্ত নেতাকর্মীদের বিয়ে না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপির অন্যতম ত্যাগী নেতা মির্জা আব্বাস। আর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বইছে ব্যাপক শোরগোল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ পরামর্শ দেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমার অনেক ছোট ভাই আছে, তাদের অনেকেরই বিয়ে হয়নি। যারা বিবাহিত নন তাদের জন্য আমার একটি বার্তা আছে। বিয়ে করলে আপনার নামে মামলা হবে, আপনার স্ত্রীর নামে মামলা হবে।”এখন এই সরকার থাকতে দয়া করে আপনারা বিয়েসাদি কইরেন না। খামাখা বউটারে মামলা খাওয়াইয়েন না।’
বিয়ে করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটতে হবে, বিয়ে প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, গতকাল ঢাকার একটি আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অজ্ঞাত সম্পদ অর্জনের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এর প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ভালো করেই জানে তারেক রহমান বিদেশে, জোবায়দা রহমান বিদেশে। এবং খুব ভালো করেই জানেন, জোবাইদা রহমান সেখানে পড়াশোনা করছেন, আর তারিক রহমান আজ বাংলাদেশে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের গাত্রদাহ হয়ে গেছে। এত বছর পর পুরোনো মামলা এখন তারা জাগ্রত করেছে। ২০০৭ সালে যখন মামলা হয়, তখন আমরা অনেকেই জেলে ছিলাম। আওয়ামী লীগ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকে কারাগারে ছিলেন। একই সঙ্গে গ্রেফতার হন জাতীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকের প্রধানমন্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। আজ তাদের (আ.লীগ) কারো বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। সব মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। আর আমাদের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। এর পেছনে একটি ষড়যন্ত্র কাজ করছে, যাতে তারেক রহমান কথা বলতে না পারেন।
এদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না। যতদিন না এ সরকারের পতন হচ্ছে ততদিন রাজপথে লড়ে যাবেন তারা।