ডিসেম্বর মাস বাংলাদেশের বিজয়ের মাস হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এই মাসের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। এই দিনকে ঘিরে ডিসেম্বর মাস জুড়ে নানা ধরনের অনুষ্ঠান পালিত হয়ে থাকে। প্রতিবছরের মত এবারেরও এই দিনকে ঘিরে বিজয় শোভাযাত্রা আয়োজন করেছে বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপি।
অন্যান্য বছরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় শোভাযাত্রা করবে বিএনপি। বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী হওয়ায় এবার সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও আনন্দঘন র্যালি করতে নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ উপস্থিতি দেখাতে চায় দলটি। রবিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন থেকে র্যালিটি শুরু হবে। তবে অন্য কর্মসূচির মতো বিজয় র্যালি পালনে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সীমারেখা দেওয়া হতে পারে দলটির পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে। সেজন্য নির্ধারিত সময়ের আগেই নেতাকর্মীদের নয়াপল্টনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নানা রঙ বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে র্যালিতে অংশ নিতে নেতাকর্মীরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন বলেও জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, র্যালিতে বিএনপির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগীরসহ সিনিয়র নেতারাও র্যালিতে অংশ নেবেন। এর আগে গত শনিবার বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিজয় র্যালি সফল করার জন্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের একটার মধ্যে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
জানা গেছে, সর্বোচ্চ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে সব ইউনিটের নেতাকর্মীদের বলা হয়েছে। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা থেকেও নেতাকর্মীদের র্যালিতে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। এদিকে কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির যাতে তৈরি না হয় সেজন্য নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক মাঠে বেশ অবহেলিত এবং নি/র্যা/তি/ত-নিপীড়িত বিএনপি দল। এই দলটি ৩ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব পালন করেছেন। দীর্ঘ সময় ধরে দেশ শাসন করেও বর্তমান সময়ে এক সংকটময় সময় পার করছে দলটি। তবে দলটি চলমান সকল সংকটময় পরিস্তিতি মোকাবিলা করে আবারও ক্ষমতায় লাভের লক্ষ্যে কাজ করছে।