স্কুল শিক্ষাদানের জন্য। আর সেই শিক্ষা দেন করে থাকেন শিক্ষকরা। তবে সম্প্রতি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লো একটি নতুন ঘটনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাতে ধারালো দা নিয়ে স্কুল ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়ায়। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের আসামের কাছাড় জেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে তোলপাড় শুরু হয়।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, দা হাতে স্কুল ক্যাম্পাসের ভেতরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ওই শিক্ষক। ভয়ঙ্কর এই ছবি ঘিরে নেটপাড়ায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
স্থানীয়রা আসামের রাঙ্গিরখারি থানায় ফোন করে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযোগে বলা হয়েছে, রাধামাধব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ধৃতিমধা দাস হাতে দা নিয়ে আসেন।
অভিযোগ পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ সেখানে গিয়ে তদন্ত করে। পুলিশ জানায়, প্রধান শিক্ষক অস্ত্রটি লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি ভান করেছিলেন যে সবকিছু ঠিক আছে। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করি যে স্কুলে ঢোকার পরই ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরপরই পুলিশ ব্যবস্থা নেয়।
পুলিশ জানায়, এরপর ওই শিক্ষককে স্কুলের ভেতর থেকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ ধা’রা’লো অ’* উদ্ধার করে। সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা দফতরকে জানানো হয়।
শিক্ষা অধিদফতরের পক্ষ থেকে উপ-পরিদর্শক পারভেজ হাজারী তদন্তকে বলেন, প্রধান শিক্ষক ধৃতিমধা দাস বাকি শিক্ষকদের শৃঙ্খলাহীনতায় ক্ষুব্ধ। সে কারণে দাকে স্কুলে এনে বাকি শিক্ষকদের ভয় দেখাতেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, বিদ্যালয়টিতে ৭ জন শিক্ষক প্রয়োজন। ১৩ জন আছে. আর এসব শিক্ষককে নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্কুলের ভেতরেই ঘোরাফেরা করতেন প্রধান শিক্ষক ধৃতিমধা দাস।
এদিকে বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষকের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে ধৃতিমধা দাসকে অপসারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে এই ঘটনায় এখনো কোনো কারন জানা যায়নি। একজন শিক্ষক হয়ে কেন তিনি করছেন এমনটা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই।জানা গেছে ধৃতিমধা দাস গত ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। তিনি আসামের তারাপুরের বাসিন্দা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি ধৃতিমধা দাস।