পরকীয়া সম্পর্কের জেরে মানুষ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে এটা নতুন কিছু নয়। যোগাযোগ ও গন মাধ্যমে প্রতিনিয়তই ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পরকীয়া সম্পর্কের ঘটনার কথা প্রকাশিত হচ্ছে। সম্প্রতি এমনি একটি পরকীয়ার সম্পর্কের কথা যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।
ঘটনাটি রাজশাহীর সাহেব ( Mr. Rajshahi ) বাজার এলাকায় । ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ব্যভিচারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে তার স্ত্রীকে রাস্তার মাঝখানে টেনেহিঁচড়ে মারতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার ( Tuesday ) ২৪ মে দুপুরে ( May noon ) আবাসিক হোটেল ( Residential hotel ) নাইস ইন্টারন্যাশনালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই নারীর কথিত প্রেমিককেও আটক করে সাধারণ মানুষ। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে টানাটানি চলার পর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ( police ) তাদের তিনজনকে থানায় নিয়ে যায়।
ঢাকায় একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৩৮ বছর বয়সী ওই নারীর স্বামী জানান, তার স্ত্রী (৩৪) দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জ ( Kishoreganj ) জেলার করিমগঞ্জের বাহাদুরপুরের ( Bahadurpur Karimganj ) ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়া করে আসছিল। . তাদের আড়াই বছরের দাম্পত্য জীবনে এখন কলহ ছাড়া আর কিছুই নেই। ওই নারী পুলিশ ( police )কে জানান, তিনি রাজধানীর হাতিল ফার্নিচারের একটি শোরুমে কাজ করেন।
অন্যদিকে তার কথিত প্রেমিক রাজধানীর নাভানা ফার্নিচার শোরুমে কাজ করেন। মহিলার স্বামী জানান, তার স্ত্রী নাভানা ফার্নিচারের শোরুমে কাজ করার পর থেকেই তার পরকীয়া চলছিল। তিনি বিভিন্ন সময় বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে আড্ডা দিতেন বলে অভিযোগ। দুই দিন আগে তার স্ত্রী তার প্রেমিককে নিয়ে রাজশাহীতে বান্ধবীর বাসায় আসার নাম করে হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ৫০৩ নম্বর কক্ষে উঠেন।
সে তার বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে সেলফি তুলে তার স্বামীর কাছে পাঠায় এবং বলে যে সে তার বান্ধবীর বাড়িতে আছে। এসময় স্বামীর খোঁজ করতে গিয়ে হোটেল নিসে তাদের দুজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। দুপুরে তিনজনকে রাস্তায় প্রকাশ্যে মা/ রামারি করতে দেখে স্থানীয়রা এগিয়ে আসেন। তারা তাদের থামানোর চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। পরে বোয়ালিয়া থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়। ওই নারী থানায় গিয়ে জানান, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান না।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, রাস্তার মাঝখানে তিনজনের খুব অদ্ভুত অবস্থা। তাই টহল পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে। অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে দুজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আর ওই নারীর স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিটা এখন তাদের ব্যাপার।
ওই নারী ছাপ জানিয়ে দিয়েছে সে তার বর্তমান স্বামীর সাথে আর সংসার করতে চায় না। তবে সে তার স্বামীকে ছেড়ে ওই পরকীয়া প্রেমিকের সাথে সংসার করবে এ বিষয়ে সে কোন মন্তব্য করেনি। প্রথম পর্যায়ে পুলিশ সবাইকে আটক করলেও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।