বাংলাদেশের সব থেকে কাছের দেশ হলো ভারত। আর এই কারনে বংলাদেশের সাথে যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই সহজ এবং কম ব্যায়বহুল।যার ফলে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সংখ্যা তা অনেক বেশি। এ দিকে হাইকমিশনের মতে, মহামা’রীর আগে ১.৬ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি ২০১৯ সালে ভারতের জন্য ভিসা নিয়েছিলেন। ২০২১ সালে, লকডাউন সত্ত্বেও, ভারত বাংলাদেশীদের ২৩০,০০০ ভিসা দিয়েছে, যার মধ্যে ১৯৬,০০০ মেডিকেল ভিসা ছিল।
মহামারীর কারণে দীর্ঘ স্থগিতাদেশের পর, গত বছরের মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে বাংলাদেশিদের জন্য ভারতের ট্যুরিস্ট ভিসা পুনরায় চালু করা হয়েছে। নিয়ম শিথিল হলে ভারত সরকার বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন হয়ে পর্যটক ভিসার অনুমতি দেয়। এরপর থেকে, ভারতে ভ্রমণকারী বাংলাদেশিদের সংখ্যা আবারও প্রাক-মহামারী পর্যায়ে ফিরে এসেছে।
ভিসা পুনঃপ্রবর্তনের পর গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি ভারতীয় ভিসা নিয়েছেন; এর মধ্যে ২ লাখ ৭৩ হাজার মেডিকেল ভিসা। ভারতীয় হাইকমিশন টিবিএসকে এ তথ্য জানিয়েছে।
হাইকমিশনের মতে, মহামারীর আগে ১.৬ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি ২০১৯ সালে ভারতের জন্য ভিসা নিয়েছিলেন। ২০২১ সালে, লকডাউন সত্ত্বেও, ভারত বাংলাদেশীদের ২৩০,০০০ ভিসা দিয়েছে, যার মধ্যে ১৯৬,০০০ মেডিকেল ভিসা ছিল।
ঢাকার ভারতীয় ভিসা সেন্টারের ডেপুটি অপারেটিং অফিসার কিংশুক মিত্র টিবিএসকে বলেন, ঢাকার ভিসা সেন্টারটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিসা সেন্টার। ২০২২ সালের শেষ নাগাদ এখানে ভিসার চাহিদা ছিল অনেক বেশি।
বাংলাদেশে ভারতের ১৫টি ভিসা কেন্দ্র রয়েছে; এর মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভিসা কেন্দ্র ঢাকার যমুনা ফিউচার পার্কে। এছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, রংপুর, ঠাকুরগাঁও, বগুড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলো বিশ্বের বৃহত্তম ভিসা অপারেশন নেটওয়ার্ক তৈরি করেছে।
বাংলাদেশি নাগরিকদের বিনামূল্যে ভারতের ভিসা দেওয়া হয়। যাইহোক, ভিসা আবেদন জমা দেওয়ার সুবিধার্থে, ভারতীয় ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার (আইভিএসি) প্রতি আবেদনের জন্য ৮০০ টাকা প্রসেসিং ফি নেয়, তিনি বলেন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার মানুষের এই সংখ্যা দিন দিন আরো বেশি বেড়ে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলাদেশীরা সাধারণত পায়ে (স্থলবন্দর) এবং বাস, অভ্যন্তরীণ নৌপথ, সমুদ্র, রেল ও আকাশপথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করে।