রাজধানীর আদালত চত্বরে ঘটে গেছে একটি সিনেমাটিক ঘটনা। সিনেমায় যেমন আমরা দেখে থাকি আদালত থেকে জেলে নেবার সময় ছিনতাই করে আসামিকে নিয়ে যায় আততায়ীরা। এবার তেমনি ঘটলো রাজধানী ঢাকায়। আর এই কারণেই সমগ্র ঢাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া ডিবি পুলিশ, সোয়াট, র্যাব এবং কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যদের তৎপরতা বেড়েছে।
‘বো*’ ডিসপোজাল ইউনিট- সোয়াট এবং পুলিশের বিভিন্ন গাড়ি মোতায়েন করা হয়েছে। আদালত এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
পুলিশ জানায়, রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই মামলায় দুই জঙ্গিকে আদালতে তোলা হয়। বৈঠক শেষে পুলিশ তাদের তুলে নিয়ে যায়। এ সময় দুই জঙ্গি সদস্য পুলিশের চোখে-মুখে স্প্রে ছিটিয়ে দিলে তারা অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে।আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই জঙ্গি পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, পলাতক দীপন হ* মামলায় মৃ*দ*প্রাপ্ত দুই আসামি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার স’ন্ত্রা’সবি’রো’ধী আইনের মামলায় আজ দুই আসামিকে হাজির করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে হাজির করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় জ’ঙ্গি’রা’ চারজনের মধ্যে দুজনকে অপহরণ করে। ছিনতাই করতে আসা বাকি চারজন দুটি মোটরসাইকেলে করে আদালতে আসেন। পলাতক দুই আসামি হলেন সুনামগঞ্জের চাতক উপজেলার মাধবপুরের মাইনুল হাসান শামীম ও লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার ভেটস্বর গ্রামের আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব।
এদিকে জ*দের ধরতে প্রতিটি থানা ও অন্যান্য ইউনিটকে চেকপোস্ট বসানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সিটিটিসি প্রধান মো. আসাদুজ্জামানসহ সিনিয়ররা বর্তমানে আদালত এলাকায় অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত,এ দিকে এই ঘটনায় পুলিশ উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে সকলেই। এ নিয়ে ইতিমধ্যে কথা বলেছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন তাদের যে কোনো মূল্যে খুঁজে বের করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।