বিশ্বের সব থেকে বড় সমুদ্র সৈকত হচ্ছে বাংলাদেশের কক্সবাজারের সমদ্র সৈকত। আর এই কারণেই সারা বছরই সেখানে ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের। তবে সমর্পতি ঘটেছে একটি অবাক করা ঘটনা। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ঢেউয়ের তালে ভেসে উঠছে অসংখ্য মাছ।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর এসব মাছ সমুদ্র সৈকতের লাবণী ও কবিতা সাতোয়ার পয়েন্টে ভেসে আসে। স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও ছুটছেন ভাসমান মাছ সংগ্রহ করতে।
স্থানীয়রা জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এখন শুধু মাছ আর মাছ। কয়েকদিন আগে জেলিফিশ এসেছে।
সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে পর্যটক ও স্থানীয়দের হাজার হাজার মাছ সংগ্রহ করতে দেখা যায়। এখানে রয়েছে পোয়া, ইলিশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ। মূল জালে পড়ে এসব মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা। সৈকতে তাদের ছুঁড়ে দেওয়া। অনেক জেলেও তাদের জাল ফেলেছে।
এফবি আরিফ ট্রলারের নাবিক আবুল কাসেম বলেন, আমি রাত ১০টার দিকে লাবনী ও শৈবাল পয়েন্টের মধ্যে জাল ফেলেছিলাম। টানার সময় আমরা জালে মাছের উপস্থিতি টের পাই। আমাদের ট্রলারগুলো ছোট। অনেক মাছ রয়ে গেছে। আমরা জালে নিয়ে যাবো। সৈকতে রেখে যাচ্ছি। আমাদের মত আরো অনেকে চলে যাচ্ছে। আজ সবচেয়ে বেশি মাছ জালে পড়েছে।
পর্যটন পুলিশের কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, “সৈকতে যখন মাছ পড়ে থাকে। আমিও একটি ব্যাগ নিয়ে গিয়েছিলাম। অনেকে মাছ ধরেছে। এখানে পোয়া, ইলিশ, ছুরিসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ রয়েছে। আমি জানতে পেরেছি যে, জালে অতিরিক্ত মাছ থাকায় জেলেরা জাল তুলতেও পারেনি তাই হাল ছেড়ে দেয়।
স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকরাও মাছ সংগ্রহ করছেন জানিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “অনেক পর্যটকও মাছ সংগ্রহ করেছেন। কেউ কেউ সমুদ্র সৈকতে বিক্রি করছেন। অনেকে বস্তায় ভরে নিয়ে যাচ্ছেন।
সৈকতের দায়িত্বে থাকা লাইফগার্ড ওসমান গনি বলেন, “সকালে সমুদ্র সৈকতে মাছ ভাসতে দেখা যায়। তখন পর্যটক ও স্থানীয়রা এসব মাছ সংগ্রহ করে। ধারণা করা হচ্ছে জেলেরা তাদের জালে অতিরিক্ত মাছ ধরেছে। তাই, জেলেরা অতিরিক্ত মাছ নিতে না পেরে সাগরে ফেলে দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এ দিকে কক্স-বাজারের এই ঘটনায় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে সবখানে। এ নিয়ে সৈকত কর্মী মাহাবুবুর রহমান বলেন , ফেলে দেওয়া মাছগুলো মূলত সৈকতে পড়ে আছে। সবাই সেগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, সৈকতে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।