হজ পালনের উদ্দেশ্যে সারা বিশ্ব থেকেই অনেক হাজি সৌদি আরব আসেন। তবে অনেকেই আসেন বেআইনি ভাবে। কেউ যেন শুনে এমন কাজ করে আবার অনেকে দালালের খপ্পরে পড়ে করে।
সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে সৌদি কর্তৃপক্ষ গত দুই বছর ধরে হজ কার্যক্রম সীমিত করেছে। তবে এ বছর বিদেশি নাগরিকদের জন্য হজের দ্বার খুলে দিয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে হজযাত্রীরা দেশে যেতে শুরু করেছেন। তবে কেউ অনুমতি ছাড়া হজ করলে তাকে ১০,০০০ রিয়াল জরিমানা করা হবে বলে সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সৌদি কর্তৃপক্ষ বুধবার (২৯শে জুন) জানিয়েছে, যথাযথ সরকারি অনুমোদন ছাড়া যারা হজ পালন করবে তাদের জরিমানা করা হবে।
একটি টুইট বার্তায়, মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সামি বিন মোহাম্মদ আল শুওয়াইরাখ জোর দিয়েছিলেন যে হজ করতে ইচ্ছুকদের প্রথমে সরকারী অনুমতি নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, মক্কার গ্র্যান্ড মসজিদে যাওয়ার পথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পবিত্র স্থানে যারা নিয়ম লঙ্ঘন করবে তাদের প্রতিহত করা হবে।
এ বছর সৌদি সরকার মোট ১০ লাখ দেশি-বিদেশি হজযাত্রীর অনুমোদন দিয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে সৌদি আরবে ৮ জুলাই হজ অনুষ্ঠিত হবে। এবার বাংলাদেশের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর কোটা ৪ হাজার ১১৫ জন। অন্যদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় কোটা ৫৫ হাজার ৬৫ জন। সারা বিশ্বের ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে সৌদি সরকারের বিধিনিষেধের কারণে গত দুই বছর ধরে হজ করতে পারছেন না বাংলাদেশি হজযাত্রীরা।
উল্লেখ্য, সৌদি আরবে বুধবার (২৯ জুন) জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩০ জুন জিলহজ মাস গণনা শুরু হবে। সে হিসেবে আগামী ৭ জুলাই শুক্রবার ‘ইয়াওমে আরাফা’ হজের মূল কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে।
হিজরি জিলহজ মাসের ৯ তারিখে হজ নির্ধারিত হয়। ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত এই দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ আরাফাত চত্বরে এসেছিলেন। সৌদি আরবে ২৯ জুন পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসেবে পরবর্তী হজ হবে ৭ই জুলাই অর্থাৎ ৯ জিলহজ ১৪৪৩ হিজরি। আগামী ৯ জুলাই দেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।