প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবে হজ এবং ওমরাহ পালনে গিয়ে থাকেন। তারা বিভিন্ন ধরনের হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনের জন্য যাবতীয় প্রক্রিয়াকরণ করে থাকেন। এতে করে নানা সময়ে হজ পালন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন। এবার হজ পালনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যাতে প্রতারিত না হন, সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
যারা আগামী বছর (২০২৩) হজে যেতে চান তাদের সরাসরি এজেন্সি এবং ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের পরামর্শ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রতা”রণা ঠেকাতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ধর্ম মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতে, ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি ও সংস্থাগুলিকে জানানো হচ্ছে যে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২’ অনুসারে, হজ এজেন্সিকে হজে নিবন্ধন করার আগে হজযাত্রীর সাথে একটি লিখিত চুক্তি সম্পাদন করতে হবে, এবং এজেন্সির দায়িত্বশীল প্রতিনিধি নন এমন কোনো ব্যক্তি/গোষ্ঠী নেতার মাধ্যমে লেনদেন করবেন না। এজেন্সির সাথে এবং ব্যাংকের মাধ্যমে সরাসরি লেনদেন করা বাঞ্ছনীয়।
একই সময়ে হজযাত্রীর কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের বিপরীতে অর্থ প্রাপ্তির প্রমাণ হিসাবে রসিদ প্রয়োজন। হজ সংক্রান্ত সব ক্ষেত্রে ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২১ এবং ‘হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২২’ এর অনুসরণসহ সব ধরনের আর্থিক লেনদেন যথাযথ প্রতিনিধি, অংশীদার, স্বত্বাধিকারীর মাধ্যমে এবং রশিদ/ব্যাংক রশিদের মাধ্যমে করার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
হজ পালন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা যাতে কোনো ধরনের প্রতার’ণার ফাঁদে না পড়েন, সেজন্য নানা দিকের পরামর্শ দিয়ে থাকে ধর্ম মন্ত্রণালয়। তাছাড়া যাতে সহজে এবং কোন ধরনের সময়ক্ষেপণ ছাড়াই হজ পালন ইচ্ছুক ব্যক্তিরা, তাদের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন, সে বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছে।