সৌদি আরবে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক ধর্মপ্রান মুসলমান হজ ও ওমরাহ পালন করে। তবে এই হজ ও ওমরাহ পালনের খরচের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এবার হজ পালনের খরচ নিয়ে সুসংবাদ দিলো সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর (২০২৩) হজের খরচ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রনালয়। গত বছরের তুলনায় এই খরচ ৩০ শতাংশ কমানো হতে পারে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব ডক্টর আমর বিন রেদা আল মাদ্দাহ বলেন, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে ইতিমধ্যেই প্রায় ৯০ শতাংশ ‘ইকোনমিক হজ প্যাকেজ’ বিক্রি হয়ে গেছে।
সহকারী সচিব আল মাদ্দাহ বলেন, সৌদি আরবে হজ প্যাকেজগুলো কোম্পানির সেবার মানের ওপর ভিত্তি করে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। হজ ক্যাম্পে সেবার মান দেখে তা নির্ধারণ করা হবে।
এদিকে হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সৌদি আরবের স্থানীয় হজযাত্রীরা তিন কিস্তিতে হজ প্যাকেজ পরিশোধ করতে পারবেন। প্রথমে হজ পালনে আগ্রহীদের নিবন্ধন করতে হবে। এরপর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্যাকেজের ২০ শতাংশ পরিশোধ করে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। পরবর্তী ৪০ শতাংশ অর্থ ২৯ জানুয়ারি (৭ রজব) এর মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। আর শেষ ৪০ শতাংশ ২৩ এপ্রিল (৩ শাওয়াল) এর মধ্যে পরিশোধ করা যাবে। যদিও আগে একবারে পুরো টাকা দেওয়ার নিয়ম ছিল।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ২৫ লাখ মানুষ হজ করেন। কিন্তু ২০২০ সালে, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের বিধিনিষেধের কারণে, এই সংখ্যা কয়েক হাজারে নেমে আসে। ২০২১ সালে, সৌদি আরবে অবস্থানরত ৬০,০০০ মুসলমান হজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ২০২২ সালে, বিদেশীসহ ১ মিলিয়ন মানুষ হজ করেছিলেন।
তবে বাংলাদেশের ধর্ম মন্ত্রনালয় হজ পালনেচ্ছুকরা যাতে সকল ধরনের সুবিধা পায় সে লক্ষ্যে সব সময় কাজ করে চলেছে। বর্তমানে বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছে সরকার যার মধ্যে খুব সহজে অনলাইনে আবেদন করার বিষয়টি। তবে বাংলাদেশের হজ ও ওমরাহ পালনেচ্ছুকরা আগের তুলনায় অধিক সুবিধা পাচ্ছেন।