আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে হজ আয়োজনে কোনো বাধা থাকবে না। ফলে ধারণা করা হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক হজযাত্রীর সমাগম হবে। আর অতিরিক্ত হজযাত্রীদের কথা মাথায় রেখে মক্কায় পাঁচ হাজার নতুন ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনা মহামারির আগে ২০১৯ সালে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ হজ করেন। কিন্তু মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে সীমিত সংখ্যক হজযাত্রী হজে অংশ নেন। করোনা বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় ২০২২ সালে হজযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১০ লাখে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে নেওয়ায় এই বছর এই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছর ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ পালন করেছেন। আগামী বছর এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
মক্কায় হজের জন্য পাঁচ হাজার নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে। সৌদি আরব ইতিমধ্যেই ২০২৪ সালের পবিত্র হজকে সামনে রেখে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। নতুন বছরে হজযাত্রীদের জন্য কোনো cjfcbf নিষেধাজ্ঞা থাকবে না। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া রোগের কারণে দেশটি স্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
ফলে আগামী বছর হজযাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে মক্কায় আবাসন সংকট দেখা দিতে পারে। তাই হজযাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনে মক্কায় ৫ হাজারের বেশি উচ্চ ভবনের লাইসেন্স দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি।
আগামী ২০২৪ সালের হাজিদের জন্য এরই মধ্যে ১৬৬টি সুউচ্চ ভবনের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে। এসব ভবনে কক্ষ থাকবে ২৬ হাজার ৭১০টি। যাতে ১১ লাখ ১৬ হাজার ৬৯৭ জন হাজির থাকার ব্যবস্থা হবে।
মক্কার হজ হাউজিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত এসব ভবনে হাজীদের আবাসনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এসব ভবনে উচ্চমানের সেবা দেবে সৌদি হজ মন্ত্রণালয়। তবে এ ক্ষেত্রে যেসব দেশ হজ চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন করতে পারবে, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসব ভবন দেওয়া হবে।
আগামী জুন মাসে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি হজ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ২০২৪ সালের পবিত্র হজের জন্য হজযাত্রীদের জন্য হজ ভিসা ইস্যু করা শুরু হবে ১ মার্চ থেকে এবং ভিসা প্রদান ২০ শাওয়ালের মধ্যে অর্থাৎ ২৯ এপ্রিলের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
৯ মে থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের আগমন শুরু হবে। আগের বছরের ধারাবাহিকতায় কোটা অনুযায়ী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২৭ হাজার হজযাত্রী হজ পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।