কোভিড-১৯ সংক্রমনের ফলে দীর্ঘ প্রায় এক বছরেরও অধিক সময় নানা বিপত্তির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে মানুষকে। তবে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে এ সংক্রমনের রেশ কিছুটা কমতেই অনেকেই ভেবেই নিয়েছিল, এবার হয়তো হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারবেন তারা। কিন্তু না, সংক্রমনের রেশ কমতে না কমতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির ফলে নতুন করে সংশয়ে পড়তে হয়েছে সবাইকে।
তবে পণ্যের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে মন্তব্য করে এবার বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক গালি শুনেছি। সারাবিশ্বে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে, এটা বৈশ্বিক সমস্যা। তারপরও আমরা পণ্যের দাম কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।’
মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘রংপুর জিলা স্কুল’ মাঠে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষকরা যদি চাষাবাদ বন্ধ করে দেন, তাহলে আমাদের কী অবস্থা হবে ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দ্বিগুণ করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। এগুলো বাস্তবায়ন করতে সময় লাগছে। তবে মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাওয়ার জন্য যুদ্ধ করেননি। তারা বাঙালির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছেন, অনেকে জীবন দিয়েছেন। সে কারণে তাদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ জীবন-মান উন্নয়নে সব ধরনের ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।’
টিপু মুনশি বলেন, ‘৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। মানুষের রোজগার বেড়েছে। এখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। গত বছর করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান দেখেছে বিশ্ব। পাকিস্তান এখন সব ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে শতকরা ৫০ শতাংশ পিছিয়ে। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টির কারণে।’
এদিকে কোভিড-১৯ সংক্রমনের রেশ কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মানুষ। আগের তুলনায় রোজগারও বেড়েছে কিছুটা। ফলে এই মুহুর্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের উর্ধগতি দামের মধ্যদিয়েও কোনো ভাবে সংসার চালিয়ে যাচ্ছেন মানুষ। তবে এভাবে চলতে থাকলে মানুষকে নতুন কোনো মহামারিতে পড়তে হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।