মাগুরায় প্রাইভেট পড়ার সুবাদে একপর্যায়ে টিউটর হুমায়ন কবিরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর। আর এরই ধারাবাহিকতায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ঐ ছাত্রীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন কবির। আর এরই মধ্যে সম্প্রতি এবার ঐ ছাত্রী সন্তান প্রসব করার ঘটনা গোটা এলাকাজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল।
ওই প্রাইভেট শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা করেন ছাত্রী। মাগুরা আদালতে দায়ের করা মামলাটি মোহাম্মদপুর থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। অভিযুক্ত প্রাইভেট টিউটরকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় গত ৬ জুলাই ওই ছাত্রী গৃহশিক্ষক হুমায়ন কবির, তার মা রূপবান বেগম ও সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে আসামি করে মাগুরার আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
ভিকটিম বলেন, প্রাইভেট শিক্ষক আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার অনিচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। পরে আমি গর্ভবতী হয়ে যাই। এখন একটা বাচ্চা আছে। সামর্থ্য নেই। আমার বাবাও একজন শ্রমিক। এই বাচ্চাকে নিয়ে এখন কি করব? কোথায় যাব? কেউ কোন খবর নেয় না!’
এদিকে এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক আশরাফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত ৬ জুলাই ঐ শিক্ষকসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী। আর এরই আলোকে অভিযান চালিয়ে কবিরকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেয়া হয়েছে।