“আমরাও স্যাংশনস দি/তে পারি” এটি না জেনে বলেননি উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, অনেকেই চেয়েছিলেন নির্বাচন যেন অবাধ ও সুষ্ঠু না হয়, প্রশ্ন করা যেতে পারে, নিষেধাজ্ঞা দেওয়া যাবে। নিষেধাজ্ঞার কথা বলেছি, আমরাও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারি। আমি না জেনে বলিনি। আমি বললাম কারণ আমি নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সব জানি।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৮১টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করে আমরা নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন করেছি। নির্বাচন কমিশন যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছি। আওয়ামী লীগের এই সাহস আছে। যার কারণে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কিছু পর্যায় থেকে বলা হচ্ছে নির্বাচন সঠিকভাবে হয়েছে, কিন্তু অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। তাদের দেখাতে হবে কোথায় সুষ্ঠু হয়নি? আমরা শুধু এটুকুই বলতে পারি, নির্বাচন অত্যন্ত অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। সকল বাহিনী নিরপেক্ষভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।
বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ যাতে সরকারে আসতে না পারে সেজন্য বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে। জনগণ আমাদের শক্তি, তারা চেয়েছিল বলেই আমরা এসেছি। এছাড়া আওয়ামী লীগই আমাদের শক্তি। এই দলের নেতা-কর্মীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ আমরা এখানে এসেছি।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন নিয়ে বারবার ষ/ড়যন্ত্র হয়েছে। সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ২০১৪ সালে চেষ্টা করে, নির্বাচন ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। ২০১৮ সালে, তিনি আবার আসেন এবং পরাজয় জেনে চলে যান। নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। এবারও ব্যর্থ করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখনও লাফাচ্ছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে।
সভায় সূচনা বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শোক প্রস্তাব পাঠ করেন দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।