ব্যারিস্টার সৈয়দ সৈয়দুল হক সুমন এমপি বলেছেন, চুনারুঘাট-মাধবপুরের মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছি। দলের ঊর্ধ্বে থেকে সবার সহযোগিতায় উন্নয়নের ইতিহাস গড়তে চাই। কৃষি কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এখন থেকে ফলের গাছ লাগাতে হবে। ফল দিয়ে দেশ পরিচিতি পায়।
শনিবার বিকেলে মাধবপুর উপজেলা হলে কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সুমন বলেন, প্রশাসনকে আমি পুরো স্বাধীনতা দিতে চাই। আজ থেকে প্রশাসন ফ্রি, আপনাদের ওপর কেউ প্রভাব খাটাতে পারবে না। কেউ রাজনৈতিক কোনো প্রভাব খাটিয়ে কিছু করতে পারবে না। আমার মামা হোক, চাচা হোক বা আমার পিএস-এপিএস যেই হোক- কেউ আপনাদের ওপর প্রভাব খাটাবে না। প্রশাসন ছাড়া আমাদের ওপরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।
মাধবপুর থানার ওসিকে উদ্দেশ্য করে সুমন বলেন, থানাকে আপনার বাড়ির মতো পরিষ্কার রাখুন। কেউ কেউ থানায় বাড়িঘর বানিয়ে ফেলেছেন, এটা যেন না হয়। অন্যায়কে প্রশ্রয় দিবেন না। আমার কোনো পরিচয়ে প্রভাব খাটিয়ে কিছু চাইলে আপনারা আমাকে না জানিয়ে কিছু করতে যাবেন না।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি নিজের টাকায় এলাকার উন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করব।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন, যা যা সহযোগিতা প্রয়োজন আমি দেব। তিন মাসের মধ্যে পরিবর্তন না হলে আমরাই দায়িত্ব নেব।
ইউএনও একেএম ফয়সালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক মেয়র শাহ মোঃ মুসলিম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মজিব উদ্দিন তালুকদার ওয়াসিম, চেয়ারম্যান মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, আলাউদ্দিন পারভেজ চৌধুরী, মাহবুর রহমান সোহাগ, ফারুক আহমেদ ফারুক, মিজানুর রহমান, মীর খোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ। মাসুদ খান, মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ নেতা শাহ সৈয়দ হাবিবুল্লাহ। সভাপতি ফারুক পাঠান, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আলীদ মিয়া, শংকর পাল চৌধুরী, আজিজুর রহমান জয় প্রমুখ।