ঢাকার তুরাগ এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাহমিনা আক্তার নামের ২৫ বছর বয়সী একজন নার্সের ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার করেছে সেখানকার থানা পুলিশ। এ ঘটনার পর ঐ নার্সের প্রেমিককে গ্রে”প্তার করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা গেছে, তারা দু’জন অবিবাহিত হওয়া সত্বেও একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করতেন।
রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তুরাগের বাউনিয়া আদরপাড়া এলাকায় প্রয়াত আব্দুল জলিল মিয়ার বাড়ির নিচতলার একটি কক্ষ থেকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ওই তরুণীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়। মেয়েটি গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার ডেমরা গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে।
জানা গেছে, মেয়েটি বিয়ে না করে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বসবাস করছিলেন তুরাগের ভাড়া বাসায়। জানা গেছে ঐ প্রেমিকের নাম ওয়াসিম-উজ-জামান। তারা দুজনেই উত্তরা মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানে নার্স হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিবাদ চলছিল। ঘটনার দিন (রবিবার) রাতে পরকীয়া প্রেমিক ওয়াসিম-উজ-জামান দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে দরজার তালা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ওই তরুণীকে উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তুরাগ থানার ওসি মওদুদ হাওলাদার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি। একজন আসা”মি হেফাজতে রয়েছে। গতকাল (রোববার) আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি।
আটক ব্যক্তির পরিচয় ও তরুণীর মৃ”ত্যুর কারণ সম্পর্কে ওসি বলেন, আটক ব্যক্তি তার (তরুণী) প্রেমিক। তারা দুজনেই স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ওই বাড়িতে থাকতেন কিন্তু তাদের বিয়ে হয়নি। তারা দুজনই নার্স ছিলেন।
ডা. মোঃ মিজানুর রহমান যিনি উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা। কারন আমি এখন ছুটিতে রয়েছি। তবে এ বিষয়টি আমাকে অবগত করা হয়েছিল কয়েক ঘন্টা আগে। আমি আমার কর্মস্থলে ফিরে এসে, এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেব। এই মুহূর্তে আমি কোন কিছু বলতে বা করতে পারছি না।