পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা উপজেলায় অবস্থিত একটি আবাসিক হোটেল থেকে একজন নারী পর্যটককে মৃ”/তদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হোটেল সূত্রে জানা গেছে, ঐ নারীর নাম অজান্তা বেগম যিনি তার এক পুরুষ সঙ্গীর সাথে হোটেলে ওঠেন। তাকে হোটেল কক্ষে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে হোটেল ঝিলিক থেকে ওই নারীর ঝুলন্ত নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টায় সুজন (৩২) ও অজন্তা বেগম নামে দুইজন স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। শুক্রবার তারা হোটেলে অবস্থান করে বাইরে ঘোরাফেরা করেন।
হোটেল রেজিস্ট্রি অনুসারে সুজন পটুয়াখালীর বাউফল সদরের রাফেজ সিকদার ও আমেনা বেগমের ছেলে।
হোটেলের মালিক লিয়াকত আলী জানান, শনিবার সকাল ১০টায় হোটেল থেকে চেক আউট করার সময় হলে তাদের ফোন করা হয়। ফোন না পেয়ে রুমে কল করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রুমটি ভিতর থেকে বন্ধ থাকায় পুলিশকে খবর দেই। পরে পুলিশ তার নিথর দেহ উদ্ধার করে।
হাফিজুর রহমান মহিপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ওই নারীর ঝুলন্ত দেহটি উদ্ধার করার পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে যাকে স্বামী হিসেবে পরিচয় দিয়ে উঠেছিলেন সেই সুজন নামের ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। তাদেরকে শনাক্ত করার জন্য সকল ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।