সম্প্রতি পরকীয়ার ঘটনা অহরহ ঘটছে। যার ফলে সমাজে অসংখ্য সংসার ভাঙছে। বর্তমান সময়ে পরকীয়া প্রেম সামাজিক ব্যাধিতে পরিনত হয়েছে। স্বামী-সন্তান রেখে পরকীয়া করা প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে গেলেন এক গৃহবধূ, এমন ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের টঙ্গীর ( Tongi ) খাঁ পাড়া ( Khan Para Tongi Gazipur ) নামক এলাকায়। শুক্রবার ( ৪ ফেব্রুয়ারি ) বাবার বাড়ি থেকে তিনি নিখোঁজ হয়ে যান। সম্ভব্য সব খানে খোঁজার পরও তার সন্ধান না মেলায় পশ্চিম থানায় বিষয়টি জানায় তার পরিবার।
ওই গৃহবধূর বাবা জানান, ২০১৫ সালে শেরপুরের মুছারচর( Musharchar Sherpur ) গ্রামের দুলু মিয়ার( Dulu Mia ) ছেলে আলমের( Alam ) সঙ্গে ইসলামি শরিয়া মোতাবেক তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় দুই বছর পর তাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। স্বামী আলম( Swami Alam ) নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের মদনপুরে( Madanpur Kanchpur ) একটি ইটের ভাটায় কাজ করতেন। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ইটভাটার পাশে ভাড়া বাসায় থাকতে শুরু করেন। এদিকে পারভেজ একই ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করে। লিভ টুগেদারের সুবাদে আলমের( Alam ) স্ত্রীর সঙ্গে পারভেজের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তা রূপ নেয় বিদেশি প্রেমে। পরে স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জানতে পারেন পারভেজ। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ কারণে কয়েকদিন আগে টঙ্গীর( Tongi ) খাঁপাড়া এলাকায় বাবার ভাড়া বাসায় বেড়াতে যান ওই গৃহবধূ।
এরপর শুক্রবার (৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। পথে সে তার বাবার নগদ ৩০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় এলাকায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্বজনরা।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, এ ঘটনায় তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। থানায় অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান প্রেক্ষপটে পরকীয়া প্রেম একটি সামাজিক ব্যাধি যা সমাজে কোন শ্রেনীর মানুষের নিকটে গ্রহনযোগ্য নয়। এ ধরনের সামাজিক অপরাধ বন্ধে সামাজিক সচেতনতা গড়তে হবে সব পেশার মানুষকে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যেন সুসম্পর্ক গড়ে উঠে সে দিকে নজর দিতে হবে সকল পরিবার ও অভিভাবককে যাতে সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্ততে না হয় কোনো পরিবারকে।