রাজ-শুভশ্রী বর্তমান সময়ে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি। কিন্তু এই দুই তারকার বিয়ের আগে ত্রিভুজ প্রেমের ঘটনা ঘটে। যা নিয়ে এখনও চর্চা চলে অন্দরমহলে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টিভি নাইন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৬-১৭ সালের কাহিনী এটি। টলিপাড়ার দুই শীর্ষস্থানীয় অভিনেত্রী ও পরিচালকের ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি। পরিচালক ভালোবাসতেন এক নায়িকাকে, তার বিরুদ্ধে উঠে প্রতারণার অভিযোগ। এরপর তাদের দুজনের প্রেমের মাঝে ঢুকে পড়েন আরেক নায়িকা।
নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক যখন বিয়ের দিকে এগোচ্ছে, তখন আবার ফিরে আসে প্রথম প্রেমিকা। সিনেমার গল্পের মতো শোনালেও, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, শুভশ্রী গাঙ্গুলি এবং পরিচালক রাজ চক্রবর্তীকে নিয়ে সেই গল্প শোনা যায় ২০২৪ সালেও।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ চক্রবর্তী একসময় মিমি চক্রবর্তীর প্রেমে পড়েছিলেন। অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের প্রথম ছবি ‘গ্যাংস্টার’-এর শুটিংয়ে মিমিই তুরস্কে গিয়ে এক প্রযোজকের ছেলের প্রেমে পড়েন। দেশে ফিরে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে এই অভিনেত্রীর।
এদিকে, মিমির সাথে ব্রেক আপের পর, শুভশ্রীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন রাজ। দুজনেই বিয়ের কথা ভাবতে লাগলেন। এমন পরিস্থিতিতে আবারও রাজের জীবনে এলেন মিমি। বিচ্ছেদ সত্ত্বেও, পরিচালক প্রাক্তনদের সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। সেটা মেনে নিতে পারেননি শুভশ্রী।
টলিপাড়ার অভ্যন্তরীণ খবর অনুযায়ী, গোটা ঘটনায় বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই নায়িকাই। রাজের অফিসে গিয়ে মিমির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শুভশ্রী। যেটা শুনেই ক্ষেপে যান নির্মাতা। বিচ্ছেদ হয় দু’জনের সেই মুহূর্তেই।
এদিকে সম্পর্কের টানাপোড়েনে ওষুধ খেয়ে ফেলেন মিমি। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে শুভশ্রী এটা মেনে নিতে পারেননি। তিনিও হাইল্যান্ডের পার্কের ফ্ল্যাটে লাইটার থেকে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে শোনা যায়।
তবে ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর তিনজনই একে ‘মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। এমনকি মিডিয়ার বিরুদ্ধেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ। কিন্তু সত্যকে তিনি আড়াল করতে পারেননি। এত বছর পরেও রাজ-শুভশ্রী-রাজের ত্রিমুখী প্রেম নিয়ে টলিপাড়ায় এখনও আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে ত্রিমুখী প্রেম যে শেষ হয়নি তা নয়, এক বছর পর শুভশ্রীর গলায় মালা পরিয়ে দেন রাজ। বর্তমানে এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। অন্যদিকে রাজের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন কোনো সম্পর্কে জড়াননি মিমি।