অনেক মানুষ আছে যারা ভালো একটা কর্ম সন্ধানের জন্য দেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। কেউ অবিবাহিত অবস্থায় নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করে বিদেশে যায় আবার কেউ বিবাহিত অবস্থা সংসার চালানোর জন্য। তবে সবার উদ্দেশ্য একই টাকা ইনকাম করা। অনেক মানুষ আছে যারা টাকা সন্ধানে বিদেশে পাড়ি জমিয়ে তাদের সর্বোচ্চ হারিয়েছে। এমনি এক যুবকে সন্ধান পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, গুড়ের শ্রীপুরে ওই প্রবাসীর স্ত্রী নগদ টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে পালিয়ে গেছে। স্বামীর পাঠানো টাকায় জমি কিনে বাপের বাড়িতে বাড়ি তৈরির অভিযোগ উঠেছে স্ত্রীর বিরুদ্ধে।
এরই মধ্যে সব হারিয়েছেন প্রবাসী স্বামী। বিয়ের ৩ মাস আগে বিবাহ বিচ্ছেদের নিয়ম থাকলেও নিয়ম ভাঙার দাবি প্রবাসী স্বামীর।
উপজেলার সবদলপুর ইউনিয়নের নহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামীর বড় ভাই আক্তার শেখ বাদী হয়ে ৫ জনের নামে মাগুরার বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- স্ত্রী রিমা খাতুন ওরফে সুমি, জাহিদ শেখ, আশিকুর রহমান, রিজাউল শেখ ও মোছা। জাহেদ বেগম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, আট বছর আগে নাকোল ইউনিয়নের রায়নগর গ্রামের রিজাউল শেখের মেয়ে রিমা খাতুন ওরফে সুমির (২৪) বিয়ে হয় সৌদি প্রবাসী তুহিন শেখের সঙ্গে নাহাটা গ্রামের ছত্তর শেখের ছেলে।
এই দম্পতির একটি ৭ বছরের মেয়ে রয়েছে। মেয়েটির বয়স যখন ১৮ মাস, তুহিন তার ভাগ্যের সন্ধানে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এ সুযোগে সেনাবাহিনীতে কর্মরত মোস্তাকিম নামের এক ছেলের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে সুমি। অবৈধ সম্পর্কের কারণে দম্পতি মাঝে মাঝে একান্তে দেখা করতেন। প্রেমিক মোস্তাকিম কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বাপান্দিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে।
গত ২৯ জুলাই সুমি তার প্রেমিককে তার সাথে দেখা করতে কামারখালী গড়াই নদীর ব্রিজে আসতে বলে। অবৈধ সম্পর্ক বুঝতে পেরে স্থানীয় লোকজন ওই দম্পতিকে আটক করে বিয়ে করে। এমন অবৈধ সম্পর্কের বিয়ে নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।
তুহিন শেখের বড় ভাই মামলার বাদী আক্তার শেখ বলেন, ছোট ভাইকে বিদেশে যাওয়ার জন্য জমি বিক্রি করে সাড়ে ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করি। তিনি আমাদের এক টাকাও দেননি। সব টাকা পাঠানো হয়েছে স্ত্রীর নামে। আমার ভাইয়ের টাকায় বউ বাপের বাড়িতে সব ধন-সম্পদ বানিয়েছে।
২২শে জুলাই আমাদের পরিবারের সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে গেলে সে টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে বাবার বাড়িতে যায়। ওরা আমাদের বাচ্চা মেয়েকেও নিয়ে গেছে। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ প্রসঙ্গে তুহিন শেখ বলেন, পরিবারকে খুশি রাখতে বিদেশে এসেছি। বিদেশে থাকার সুবাদে আমার স্ত্রী অনেক ছেলের সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমি বাধা দিলে সেও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি আমার কষ্টার্জিত লাখ টাকা তাকে পাঠিয়েছি। সে আমার যা কিছু ছিল সব নিয়ে গেছে। আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে। আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে সে অন্য ছেলেকে বিয়ে করেছে। বিয়ের ৭ দিন পর আমাদের বাড়িতে ডিভোর্স পেপার আসে। বাসায় না থাকায় কাগজ দেইনি।
অভিযুক্ত সুমি খাতুন বলেন, আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। দুই বছর আগে আমার স্বামী আমাকে মৌখিক ডিভোর্স দিয়েছিলেন। ৩ মাস আগে আমি তাকে তালাক দিয়েছি। কিন্তু নানা কারণে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ডিভোর্স পেপার দেওয়া হয়নি। গত ৪ আগস্ট পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ডিভোর্স পেপার পাঠানো হয়।
বিয়ে পড়ান কাজী আবদুর রউফ প্রথমে বিয়ের কথা অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করেন যে তারা বিবাহিত। কিন্তু আমার কাছে কেবিননামা নেই।
মাগুরা ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলছে।
স্ত্রী স্বামী ছেড়ে দিলেও ওই স্বামী তার সর্বোচ্চ হারিয়েছে। বিদেশে উপার্জিত যত অর্থ সমস্ত অর্থ তার স্ত্রীর নামে পাঠাতেন তিনি। ভুক্তভোগী ওই যুবকের ৭ বছরের এক সন্তান থাকায় স্ত্রীর প্রতি অঘাত বিশ্বাস করে টাকা পাঠাতেন তিনি। তবে তার স্ত্রী কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে স্বামী সন্তান ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়ে বিয়ে করে বাপের বাড়িতে প্রাক্তন ওই প্রবাসী স্বামীর টকায় বাড়ি নির্মান করে রীতি মত সংসার শুরু করেছে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে।