ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নে ইসরাত জাহান উর্মি (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দেবর রায়হানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাটোয়ারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে আসামিরা ফাঁসি দিয়ে হত্যাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
আসামিরা হলেন- দেবর রায়হান (২০), ননদ রুনা বেগম (৩০) ও শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৪৫)।
নিহতের পরিবারের অভিযোগ, ঘটনার আট দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে আবু আহমেদের ছেলে প্রবাসী মিজানুর রহমানের সঙ্গে উর্মির বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতে গৃহবধূর স্বামী প্রবাস থেকে মা ও ভাইবোনকে দিয়ে উর্মিকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ সৃষ্টি করে তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত।
নিহত গৃহবধূর মা মনোয়ারা বেগম জানান, বিয়ের সময় নগদ প্রায় ছয় লাখ টাকাসহ তিন ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয়। আমার মেয়ের জামাই দেশে না থাকায় তার শ্যালক রায়হান এ সুযোগে মোবাইলের মাধ্যমে সবসময় আমার মেয়েকে অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন এবং আমার মেয়ে উর্মিকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হুদা জানান, ঊর্মির লাশ বিছানায় লাল কাপড়ে মোড়ানো এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গৃহবধূ ঊর্মিকে যে বিছানায় ফেলে রাখা হয়েছিল সেখানেও প্রস্রাবের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার কোনো আলামত আমরা দেখিনি। আসল ঘটনা হলো, তার শ্যালক রায়হান ওই গৃহবধূকে কয়েকবার অনৈতিক প্রস্তাব দেন। মাঝে মাঝে এ নিয়ে ঝগড়া হতো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই বেলাল জানান, গৃহবধূ ঊর্মির গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়নি, বিছানায় চাদর দিয়ে মোড়ানো ছিল।
ফেনী মডেল থানার ওসি শহিদুল ইসলাম লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।