সম্প্রতি বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় ঘটচ্ছে। যার ফলে সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটছে। এ ঘটনার সাথে জড়ানো কারনে ভাঙ্গছে অসংখ্য সংসার। জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধে তাদের পরিবাররা। এবার তেমন ঘটনার সাথে জড়ালো টাঙ্গাইল সদর উপজেলার এক জনপ্রতিধি।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নের শ্যামারঘাট এলাকায় এক নারীর (৫৫) ঘর থেকে ছিলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের এক নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহাগ মিয়াকে আটক করেছে এলাকাবাসী।
বুধবার (৩ আগস্ট) ভোরে ওই এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সোহাগকে নূরজালের মামার হেফাজতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি চরপাকুল্লা গ্রামের মোঃ ফজলুল হকের ছেলে সোহাগ মিয়া (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহাগের মামার বাড়ি হওয়ায় শ্যামারঘাট এলাকায় যাতায়াত রয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে ইউপি সদস্য সোহাগের দীর্ঘদিনের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। পরে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাত ১২টায় সোহাগ ভুক্তভোগী নারীর ঘরে প্রবেশ করে এবং বুধবার ভোর ৪টা পর্যন্ত অবস্থান করে। এ সময় এলাকাবাসী তাদের আটক করে।
বিধবা বলেন, আমার স্বামী প্রায় চার বছর আগে মারা গেছেন। এরপর থেকে সোহাগ বিয়ের প্রলোভনে দীর্ঘদিন শারীরিক সম্পর্ক করে। গতকাল রাত ১২টায় সোহাগ আমার বাসায় আসে এবং আজ বুধবার ভোর ৪টা পর্যন্ত থাকে। পরে এলাকাবাসী আমাদের আটক করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লিহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য সোহাগ বলেন, আমি যা করেছি তা অন্যায়। এখন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, এমন কান্ডের সাথে জড়িত থাকায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে ওই জনপ্রতিনিধি। তবে বিষয়টি সমাধানের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে জানায় ওই জনপ্রতিনিধি।