মডেল ও ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারিকা সাবরিনের দ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক ও শারীরিক নির্যা”তনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই মামলা দায়েরের পর স্বামী স্বামী জিএস বদরুদ্দিন আহমেদ রাহীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন মাননীয় আদালত। তবে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলেও এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সারিকা-রাহীর বিয়েতে দেনমোহর ধার্য করা হয় ২০ লাখ টাকা। বিয়েতে সারিকার বাবা-মা রাহিকে ২৫ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও ঘরের আসবাবপত্র উপহার দেন। পরে আবার ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সারিকাকে নির্যাতন করে রাহি। আর তাই স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৫ ধারায় মামলা করেছেন তিনি।
এদিকে সারিকার বড় ভাই মো. আশিকুর রহমান বললেন ভিন্ন কথা। তার মতে, রাহি কখনো তাদের কাছে যৌতুক চায়নি। তিনি রাহীকে একজন ভদ্র ছেলে হিসেবেই জানেন।
ডাঃ আশিকুর রহমান একটি গণমাধ্যমকে বলেন, আমি যতদূর জানি, আমার পরিবার বা আমি রাহির পরিবারকে কোনো আসবাবপত্র দেইনি। বাবা তার মেয়েকে তার বিয়ের দিন যত গয়না দেওয়ার কথা ছিল ততটুকুই দিয়েছেন। রাহির পরিবারও যত গয়না দেওয়ার কথা ছিল, তারাও তা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাহির মুখ থেকে এমন কিছু শুনিনি যে তার যৌতুক বা কোনো আর্থিক সাহায্য লাগবে বা ব্যবসায় বিনিয়োগ করতে হবে। তিনি পরোক্ষভাবে আমাদের কিছু বলেননি। তার মধ্যে শ্বশুরবাড়ির সম্পত্তির লালসা আছে তাও দেখিনি। বন্ধ দরজার আড়ালে তাদের স্বামী-স্ত্রীর (সারিকা-রাহি) মধ্যে কী হয়েছে তা এখন আমি বা কেউ বলতে পারি না।
মা”/রধরের বিষয়ে সারিকার বড় ভাই বলেন, শারীরিক নির্যা”/তনের কথায় কিছুটা সত্যতা রয়েছে। বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনায় রাহি নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সারিকার গায়ে হাত তুলেছে। গত ১৫ বা ১৬ সেপ্টেম্বর সারিকা আমার বাড়িতে এসে দেখায় রাহি মেজাজ হারিয়ে তাকে আঘা”ত করেছে। এ সময় সারিকার বাম হাতে আঘা”তের চিহ্ন ছিল। পরে আমি তাদের (সারিকা-রাহি) আমার বাড়িতে মীমাংসার জন্য আসতে বলি। রাহি বলেন, ছোট্ট একটা বিষয়ে মেজাজ হারিয়ে এই আঘা”ত করেছিল সে। তবে ইচ্ছাকৃতভাবে আঘা”ত করা হয়নি। রাহি এর জন্য অনুতপ্ত হন এবং বারবার ক্ষমা চান। আমার বোন রাহিকে ক্ষমা করে দেয়।
তার মতে, ওই ঘটনার পরও মাঝেমধ্যে দু-একটি ঘটনায় রাহি মেজাজ হারিয়ে হাত তুলেছেন, এটাই সারিকার বক্তব্য। তবে এ বিষয়ে রাহির সঙ্গে আমার কথা হয়নি।
প্রসঙ্গত, সারিকা ২০১৪ সালে মাহিম করিম নামে এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেন। ওই পরিবারে সেহরিশ আনায়া নামে একটি মেয়ে রয়েছে। ছয় বছর ধরে সারিকা মাহিমের সাথে সংসার করেণ এবং এরপর বিচ্ছেদ হয়, এরপর সারিকার পারিবারিকভাবে চলমান বছরের ২ ফেব্রুয়ারি রাহির সাথে বিবাহ বন্ধণে আবদ্ধ হন। তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা ও আত্মীয় পরিজনের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। কিন্তু তাদের বিয়ের বছর খানেক পার হওয়ার আগেই এই দম্পতির সংসারও ভাঙনের দিকে যাচ্ছে।