Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / স্বামীর নিথর দেহ রেখে লাপাত্তা স্ত্রী ও তার দেবর

স্বামীর নিথর দেহ রেখে লাপাত্তা স্ত্রী ও তার দেবর

সম্পর্কের অবনতি অনেক সম্পর্কেই দেখা যায়। কোথাও বরকে ছেড়ে বন্ধুর সাথে, কোথাও বা চলে বরের ভাইয়ের সাথে। বিয়ের পরও বর বা বৌয়ের একাধিক সম্পর্কের কথাও শোনা যায়। কোথাও প্রেমের জন্য সহিংসতা হতে দেখা যায় ২ ভাই এর মধ্যে বা ২ বন্ধুর মধ্যে, অনেক সময় দেখা যায় প্রানও যায় অনেকেরই। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে সিলেটে।

সিলেটে হোটেলে কক্ষে স্বামীর লাশ রেখে দেবরের সাথে উধাও হয়ে গেছেন স্ত্রী। সোমবার (২৯ নভেম্বর) নগরীর দারগাহ গেইটস্থ জমজম আবাসিক হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্বামী মোরশেদ (৪৭) নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার সেনপাড়া গ্রামের মাকু মিয়ার ছেলে। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে শাহজালাল (রাহ.) তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ হোটেলের একটি কক্ষ থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে মোরশেদের স্ত্রী ও ছোট ভাই লাপাত্তা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ১১টার দিকে মোরশেদ, তার স্ত্রী সাথী আক্তার (৩০) ও মোরশেদের ছোট ভাই বাবু মিয়া (২৯) জমজম হোটেলের ৩য় তলার একটি ডাবল ও একটি সিঙ্গেল রুম ভাড়া নেন। তারা শাহজালাল (রাহ.)-এর মাজার জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে সিলেটে এসেছেন বলে হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান। সোমবার সকাল ১১টার দিকে এক হোটেল কর্মচারী নিয়মিত রুম সার্ভিসে ৩য় তলায় গিয়ে দেখতে পান, ডাবল রুমের খাটের উপর মোরশেদের নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে শাহজালাল (রাহ.) তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আবু সাঈদের নেতৃত্বে সোমবার বিকাল ৩টার দিকে একদল পুলিশ গিয়ে মোরশেদের মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে মোরশেদের কক্ষে থাকা স্ত্রী এবং অপর কক্ষে থাকা তার দেবর লাপাত্তা রয়েছেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃতদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ময়না তদন্তের পর ঘটনার রহস্য বেরিয়ে আসবে। হোটেলের ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ওই ব্যক্তির স্ত্রী ও তার ছোট ভাই লাপাত্তা। বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখছে বলেও জানান তিনি।

কে বা কারা জড়িত সঠিক না জানা গেলেও ভাই এবং তার ভাবি নিখোঁজটা অনেকটা বলে দেয় আসলে ঘটনাটি কারা করেছে। কেনইবা এমন করল তাও কিনা নিজের স্ত্রী আর নিজেরই ভাই! নাকি অন্য কেও জড়িত! এখন শুধু সুষ্ঠু তদন্তের অপেক্ষা। পুলিশি তদন্ত শেষ হলে জানা যাবে কে বা কারা মারলো তাকে নাকি অন্য কোনো কারনে প্রান গেল তার।

About

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *