ছাত্রলীগের দুই নেতাকে মারধরের ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) সানজিদার নাম উঠে আসে।
ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন।
মঙ্গলবার খোকন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন, স্যার যখন স্বামীর চেয়ে বেশি স্নেহশীল, তখন কি অস্বাভাবিক নয়? আপনার নিজের বড় বোনও ঢাকা মেডিকেলে ডাক্তার, যেহেতু আপনিই বলেছেন উল্টানো কাপড়ের কথা, আপনি সেখানেও তার ইসিজি ইটিটি করতে পারতেন।
তিনি আরও লিখেছেন, গণমাধ্যমে পুলিশ কর্মকর্তা সানজিদার সাক্ষাৎকার দেখে কিছু প্রশ্ন মাথায় এসেছিল, আপনি অসুস্থ, আপনার স্বামী জানেন না, আপনার অন্য বিভাগের স্যাররা কীভাবে জানেন? যদি আপনি জানিয়ে থাকেন, তাহলে অ্যাপয়েন্টম্যান্টের জন্য আপনি তো আপনার হাজব্যান্ডকে বলতে পারতেন। কারণ আপনার হাজব্যান্ডের পদ-পদবি আরও বড়।
এ ছাড়া পুলিশ হাসপাতাল দেশের অন্যতম সেরা হাসপাতাল, আপনিও সেখানে যেতে পারতেন। এই এডিসি হারুনকে এক সপ্তাহ আগে তোমার স্বামী অনুরোধ করেছিল তার সংসার না ভাঙতে। কেন তাকে সাথে নিয়ে যেতে হলো? আর আপনার স্বামী কেন তাকে অনুরোধ করলেন?
আপনার স্বামী কিভাবে জানলেন যে আপনি বারডেম? তুমি কি তাকেও বলেছিলে? মানে তুমি ওদের দুজনকে বলেছিলে? সংসার বাঁচাতে চাওয়া কি একটি বেচারা স্বামীর জন্য অপরাধ?
এদিকে এডিসি সানজিদা এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে সানজিদা গণমাধ্যমকে বলেন, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে সম্প্রতি সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এডিসি হারুন । এ সময় হাসপাতালে গিয়ে সানজিদার স্বামী রাষ্ট্রপতির এপিএস (সহাকারী একান্ত সচিব) আজিজুল হক মামুনই প্রথমে হারুনের ওপর হামলা চালান।
সানজিদা বলেন, শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যাই, সেখানে তাকে (হারুন) মারধর করা হয়। আমি ইসিজি রুমে থাকা অবস্থায় হামলা হতে দেখিনি।
এডিসি হারুনকে কারা হাসপাতালে ডেকেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। এ ছাড়া আর কিছুই জানি না।
এডিসি হারুনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত কোনো সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হারুনের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। সে শুধু আমার সহকর্মী।