দিনে দিনে সারা বিশ্বে বেড়েই চলেছে পরকীয়া প্রেমের বিস্তার। এই অসামাজিক কর্মকাণ্ডের জন্য দীর্ঘদিনের দাম্পত্য জীবনও নষ্ট হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় সংসারে নানা ধরনের কলহের । শুধু তাই নয় এসকল কর্মকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রাণহানির মত ঘটনাও সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে উঠে এসেছে সবার মাঝে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনি একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মত ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংবাদ মাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নে স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করেছেন এক গৃহবধূ। স্থানীয়দের ডাকা সালিশ বৈঠকে স্বামীকে তালাক দিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করেন।
মঙ্গলবার ৮ মার্চ রাতে ভোগডাবুড়ি ও গোমনাতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে এক সভায় এ বিবাহ বিচ্ছেদ ও বিয়ে হয়।
ওই নারী ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি গোসাইগঞ্জ ( Chilahati Gosaiganj ) গ্রামের বরকত আলীর ( Barkat Ali ) ছেলে রবিউল ইসলামের ( Rabiul Islam ) স্ত্রী।
স্থানীয় ও সালিশ সূত্রে জানা গেছে, ১০ বছর আগে রবিউলের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের চার বছরের একটি ছেলে রয়েছে। রবিউল ঢাকায় ( Dhaka ) শ্রমিকের কাজ করতেন। সেখানে রবিউলের সঙ্গে কাজ করতেন আরিফ নামের এক ব্যক্তি। আরিফ গোমনাতী ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের ( Anwar Hossain ) ছেলে।
গত ঈদে বাসায় আসেন রবিউল। এ সময় তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন আরিফ। এরপর থেকে রবিউলের স্ত্রীর প্রেমে পড়ে আরিফের। বিষয়টি জেনে রবিউল তার স্ত্রীকেও সতর্ক করেন।
সোমবার ৭ মার্চ ( March ) রাতে রবিউল বাড়িতে না থাকায় ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আরিফ। তারা একই ঘরে থাকে। আজ সকালে গোপনে আরিফের সঙ্গে চলে যান রবিউলের স্ত্রী ।
আরিফকে চলে যেতে দেখে রবিউলের বাবা-মা। পরে স্থানীয়রা ঘটনাটি জানতে পারলে আরিফকে মারধর শুরু করে। পরে বিষয়টি মীমাংসা হলে ওই নারী রবিউলকে ( Rabiulke ) তালাক দিয়ে আরিফকে বিয়ে করেন।
গোমনাতী ইউপি চেয়ারম্যান আহমেদ ফয়সাল ( Ahmed Faisal ) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিতে রবিউলের স্ত্রী রবিউলকে ( Rabiulke ) তালাক দিয়ে প্রেমিক আরিফকে বিয়ে করেন। সালিশে সিদ্ধান্ত হয় ছেলে রবিউলের সঙ্গে থাকবে।
প্রসঙ্গে, পরকীয়ার মত নানা ধরনের অনৈতিক অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে অনেক নারী ও পুরুষ উভয়ই। প্রথমে এ ধরনের সম্পর্কে সাময়িক আনন্দ খুজে পেলেও পরবর্তীতে এর মাশুলও গুনতে হয় অনেককে। এই পরকীয়া প্রেমের জন্য শুধু নিজের স্বামী বা স্ত্রীই নয় অশান্তির মুখে পড়তে হয় তাদের পরিবারকেও।