স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য জীবনে খুঁটি নাটি অনেক বিবাদ লেগেই থাকে। এসকল কলহের কারণে অনেকে নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড করে বসে। এ সকল কারণে হয়রানীর স্বীকার হয় স্বামী-স্ত্রীসহ উভয়ের পরিবারের। ঘটে যায় বিবাহ বিচ্ছেদসহ নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড। সাম্প্রতিক সময়ে এমনি একটি অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডকে ঘিরে সংবাদ মাধ্যমের দ্বারা আলোচনায় আসেন এক স্ত্রী।
রাজশাহীতে স্বামীকে নিষিদ্ধ দ্রব্য দিয়ে বিপদে ফেলতে চেয়েছিলেন ওই নারী। এ জন্য তিনি বাড়িতে নিষিদ্ধ দ্রব্য রেখেছিলেন। স্বামীকে হয়রানী করতে গিয়ে নিজেই হেনস্থা হলেন ।
সোমবার বিকেল ( Afternoon ) সাড়ে ৫টায় রাজশাহীর চন্দ্রিমা ( Chandrima Rajshahi ) থানার আসাম কলোনি ( Assam Colony ) বউ-বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক নারীর নাম নাসরিন বেগম। তার স্বামীর নাম সোহেল রানা।
মঙ্গলবার দুপুরে ( noon ) দায়ের করা মামলায় নাসরিন বেগমকে ( Nasreen Begum ) আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহানগর গোয়েন্দা শাখার ( metropolitan intelligence branch ) উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি ( DB ) আরেফিন ( Arefin ) জুয়েল।
তিনি জানান, সোমবার বিকেলে ( Afternoon ) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্দ্রিমা থানার আসাম কলোনি ( Assam Colony ) বউ-বাজার এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার নামে এক ভাড়াটিয়ার বাড়িতে অভিযান চালায় তারা। সেখান থেকে ১০ গ্রাম ওজনের নিষিদ্ধ দ্রব্য উদ্ধার করেছে মহানগর ডিবি ( DB ) পুলিশের ( police ) একটি দল। এ সময় ভাড়াটিয়া সোহেলকে ( Sohail ) আটক করা হয়। পরে সোহেল ও তার স্ত্রী নাসরিনকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি ( DB ) পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল রহস্য।
গৃহবধূ নাসরিন স্বীকার করেন, ছয় বছর আগে তার বিয়ে হয়। আমার তিন বছরের একটি বাচ্চা আছে।
সম্প্রতি আমার স্বামী আমার অনুমতি ছাড়াই আমার ১৫ বছর বয়সী কাজিনকে বিয়ে করেছে। এ কারণে আমি রেগে গিয়ে তাকে এই নিষিদ্ধ দ্রব্য দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করি। এটা ঠিক কাজ নয়। গৃহবধূ নিজেও ভুল করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এরপর ডিবি ( DB ) পুলিশ সোহেলকে ( Sohail ) ছেড়ে দেয় এবং তার স্ত্রী নাসরিনকে আটক করে।
এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর বিরুদ্ধে চন্দ্রিমা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ডিবি ( DB )র ডিসি।
উল্লেখ্য,বর্তমানে সোহেল জেলের বাহিরে অবস্থান করছেন। তিনি তার প্রথম স্ত্রীকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য কোন পদক্ষেপ নিবে কিনা তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এই ঘটনার আসল সত্য প্রমাণের জন্য ডিবি ( DB ) পুলিশের ( police ) তদন্ত এখনো চলমান। অন্যকে বিপদে ফেলতে চাইলে নিজেই বিপদে পড়তে হয় তারই বাস্তব প্রমাণ এই ঘটনা এমনই মন্তব্য করেছেন নেটিজেনরা ।