সাম্প্রতিক সময়ে একটি ঘটনা প্রায় গণমাধ্যমে উঠে আসতে দেখা যায়, আর সেটি হলো- প্রেমের জন্য স্বামীর ঘর ছেড়ে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অবস্থান নেওয়া। তবে এই ঘটনায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে দুই পরিবারই। অনেক সময় এই সকল ঘটনার সমাধান হলেও, অনেক ঘটনার সমাধান হয় না। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার একটি এলাকায়। বিয়ের দাবিতে নরসিংদীর রায়পুরায় স্বামীর বাড়ি ছেড়ে প্রেমিক সামির বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন শান্তা বেগম নামের ১৮ বছর বয়সী এক প্রেমিকা।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি পৌরসভার হাসিমপুর এলাকায় প্রেমিকার বাড়িতে অবস্থান করেন।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই পরিবারের সম্মতিতে তিন মাস আগে একই গ্রামের এক ছেলের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়। কিন্তু স্থানীয় একটি স্কুলে পড়ার সময় চার বছর আগে সামির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই তরুণীর। বিয়ের পরও স্বামীর অনুপস্থিতিতে সামির সঙ্গে মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতেন। গ্রামীণ সালিশও হয়েছে বেশ কয়েকবার। তিন দিন আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়িতে চলে যায় এবং সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে স্বামীর সংসারে থাকবে না বলে জানান ঐ তরুনী। এরপর এরপর শনিবার সকালে বাবার বাড়ি থেকে ওই প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেন।
এদিকে প্রেমিকা না পেয়ে বিয়ের দাবি জানান ওই তরুণী। এ ঘটনার পর প্রেমিকার পরিবার নিজেদের ঘরে তালাবদ্ধ করে অন্যত্র চলে যায়। একই সঙ্গে প্রেমিক সামিরও উধাও। তবে প্রেমিককে না পেয়ে বিয়ের দাবিতে রান্নাঘরে বসে অনশন শুরু করে ঐ তরুণী। আজ রোববার পর্যন্ত অনশন চলছে।
প্রেমিকের বাড়িতে থাকা ওই তরুণী জানান, সামির সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। তাকে আমার সামনে এনে হাজির করেন। বিয়ের পরও তার সাথে প্রতিনিয়ত কথা বলতাম। বিয়ে করার জন্য স্বামীর বাড়ি ছেড়ে আমি সামির বাড়িতে চলে এসেছি। তাকে না পেলে আমার জীবন রাখবো না, আমি তাকে চাই।
এদিকে এই ঘটনার জেরে ওই প্রেমিক এবং তার পরিবার ঘর তালাবন্ধ করে বাড়িঘর ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামি কিংবা তার স্বজনদের কাছ থেকে কোন ধরনের কিছু জানা যায়নি। নাহিদ মিয়া যিনি পৌর কমিশনার হিসেবে রয়েছেন, তিনি ঘটনার বিষয়ে বলেন, এ ঘটনা আমি জানতে পেরেছি। আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। পরবর্তীতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার পর আপনাদের কিছু বলতে পারবো।