ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ক্ষমতা ধরে রাখতে একের পর এক আইন করে যাচ্ছে নিজেদের মতো করে। অথচ দেশের রাজনীতিবিদসহ সকলেই চুপ করে তা মেনে নিচ্ছে। যার ভয়াবহতা একটু একটু পরলক্ষিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা নিশ্চিত কঠিন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছি। সরকারের বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করলে নানা কৌশলে নির্যাতন, নীপিড়নের মাধ্যমে সেটা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে এবং অনেকে ভয়ে প্রতিবাদ করেছে না। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু নিচে তুলে ধরা হল।
আমরা সবকিছু মেনে নিতে শিখেছি।একজন বিপদে পড়লে আরেকজন চুপ থাকি,কথা বলি না।প্রতিবাদ করি না।যদি ভাবেন আমার কি,আমি তো আর রাজনীতি নিয়ে লিখছি না, বলছি না।ভুল করছেন,আসলে সবই রাজনীতি।কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থায়,আপনাকে সবকিছুই বলতে হবে তাদের মত করে।জঙ্গি দেখতে হবে-জানতে হবে-ভাবতে হবে,তাদের মত করে।তাদের বেঁধে দেওয়া সংজ্ঞার বাইরে আপনাকে যেতে দেওয়া হবে না।এমন কি ফুল,পাখি নিয়েও ভাবতে হবে তাদের মত করে।
শাসন ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে কোনো কিছুই ঠিক থাকে না।জনগণের ভোটের অধিকার নেই।নির্বাচন কমিশন ব্যস্ত ইভিএম নিয়ে।ব্যয় হবে জনগণের আরো কয়েক হাজার কোটি টাকা।১৬ টাকা কেজির সার সরকার দাম বাড়িয়ে করেছে ২২ টাকা,অথচ কৃষককে কিনতে হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়।তাও পাওয়া যাচ্ছে না।গত সপ্তাহে পটলের কেজি ছিল ৬০ টাকা,আজ দেখলাম ৮০ টাকা।করলা ছিল ৭০-৮০ টাকা কেজি, আজ কিনলাম ১০০ টাকা কেজি।
স্বাধীন সাংবাদিকতা ঠেকাতে আরো একটি আইন হচ্ছে।আমরা কথা বলছি না বা ফেসবুকে সবচেয়ে সিরিয়াস বিষয়গুলো নিয়ে রসিকতা করছি,প্রতিবাদ করছি না।
প্রতিবাদটা সব পক্ষ থেকে না আসলে, জঙ্গি-ফুল-পাখি সবই দেখতে হবে তাদের চোখ দিয়ে।স্বাধীন বলে কিছু থাকবে না,কোনো সেক্টরেই না।
প্রসঙ্গত, ক্ষমতাসীনদের তাদের ইচ্ছামত সব কিছুই করে নিলে কেউ যদি প্রতিবাদ না করে তাহলে তাদের কথায় হবে দেশের কথা। অর্থ্যাৎ তারা যদি বলে রাত তো রাত দিন বললে দিন কেউ প্রতিবাদ করতে পারবে না এমনটায় মন্তব্য করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম মোর্তজা।