সম্প্রতি একটি বিষয় নিয়ে তৈরী হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা আর সমালোচনা। বিশেষ করে কয়েকদিন আগে বিদেশের একটি বাংলা সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশ করা হয় সরকারের গুম ও নির্যাতনের জায়গা আয়নাঘর নিয়ে একটি প্রতিবেদম। আর এ নিয়ে ইতিমধ্যে দেশে তৈরী হয়েছে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা। এ দিকে এবার এ নিয়ে কথা বলেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে কোনো ‘গোপন বন্দিশালা’ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেন, অজানা নির্দেশে রাষ্ট্রের কোনো নাগরিককে আক্রমণ বা গ্রেপ্তার করা যাবে না এবং কোনো নাগরিককে নৃশংসতা বা ভয়াবহতার শিকার করা যাবে না।
সোমবার (২২ আগস্ট) শরীয়তপুর জেলা জাসদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। উত্তরায় রবের বাসায় এ বৈঠক হয়।
রব বলেন, পরিকল্পিত গুম, হত্যা, নির্যাতন, অবৈধভাবে আটক রাখা এবং গোপনে আটকে রাখা শুধু গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, মানবতাবিরোধী অপরাধও। তাই জনগণকে শঙ্কামুক্ত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করে তথাকথিত ‘আয়নাঘর’ প্রকৃত অবস্থা জাতির সামনে তুলে ধরা সরকারের নৈতিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় নিরাপত্তার নামে ভিন্নমতের মানুষকে বিভিন্নভাবে ধরে নিয়ে গোপন কারাগারের অন্ধকার কক্ষে মাস বা বছর ধরে নির্যাতনের জন্য রাখা বৈধ বা নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। প্রজাতন্ত্রের কোনো প্রতিষ্ঠানের আইনের সুরক্ষা, গ্রেপ্তার এবং আটকের অধিকার সম্পর্কিত সংবিধানের ৩১, ৩২ এবং ৩৩ অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রদত্ত সুরক্ষা লঙ্ঘন করার ক্ষমতা নেই। এই নিষ্ঠুর রাষ্ট্র ব্যবস্থার উচ্ছেদ অনিবার্য হয়ে উঠেছে।
শরীয়তপুর জেলা জেএসডি আহ্বায়কের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জেএসডির কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ ইউসুফ, ডার্ট নেতা মাস্টার সামছুল হক মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শফিক, আবদুর রব সরদার, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, আহসান হাবিব প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, সরকারে আয়নাঘর নিয়ে এখনো সরকার পক্ষ থেকে কোন ধরনের কথা বলা হয়নি। এ নিয়ে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন এটা নিতান্তই গুজব। তবে এ নিয়ে দেশের বিশিষ্ট জনেরা ইতিমধ্যেই নানা ধরনের প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে।