পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা সরোজ কুমারের অনেক পুরনো পুকুরটি নতুন করে খনন করছিল কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় কাদার ভেতর গ্রেনেডটি পায় তারা। প্রথমদিকে এটি গ্রেনেড বুঝতে না পেরে পুকুরের ওপরে পাড়ে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সেখানকার শিশুরা সেটি নিয়ে খেলছিল। এরই মধ্যে সেটি গ্রেনেড হিসেবে চিনতে পেরে এলাকাবাসী আতঙ্কের মধ্যেই বিষয়টি চিরিরবন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করে। খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ হ্যান্ড গ্রেনেডটি উদ্ধার করে রংপুর র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে অবহিত করে।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রশিদ জানান, পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ওই হ্যান্ড গ্রেনেড পাওয়া যায়। গ্রেনেডটি খুবই ছোট আকৃতির এবং তার গায়ে লেখা রয়েছে ১৯৬৬। তাতে মরিচা পড়ে গেছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে এটিকে সক্রিয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে রংপুর র্যাবের বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়। পরে তারা এসে সেটি নিষ্ক্রিয় করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেনেডটি মুক্তিযুদ্ধের সময়কার।
প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে অস্ত্র ফেরত দেওয়ার সময় অনেকেই যথাসময়ে সরকারের নিকট অস্ত্র ফেরত না দিলে তা চোরাবাজারে বেচাকেনা হতে থাকে ও তার দ্বারা নানাবিধ অপরাধ সংঘটনের ঘটনা ঘটতে থাকে।