ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন দেশের একজন বিশিষ্ট আইনজীবী যিনি শুধু একজন আইনজীবি নন, তিনি বিভিন্ন ধরনের সমাজ ও জনকল্যানমূলক কাজ করে থাকেন। তিনি সমাজের অসংগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে থাকেন, যার কারনে তিনি দেশে সামাজিক মাধ্যমের কল্যানে ব্যপক পরিচিতিও পেয়েছেন। তিনি নিজের এলাকার কল্যানের জন্য অনেকে কাজ করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি তার এলাকায় অনেকগুলো ব্রিজ এবং কার্লভার্ট নির্মান করেছেন।
‘সক্ষমতা সব সময় থাকে না, সক্ষমতা থাকতে থাকতে নিজের জন্মস্থানের জন্য কাজ করে যাওয়া উত্তম’ এই স্লোগানে নিজ খরচে ৩৮তম সেতুর উদ্বোধন করেন ব্যারিস্টার সুমন। গতকাল শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শাঁখালা ইউনিয়নের বাজেস্তাং গ্রামে সেতুটি ভেঙে পড়ে।
সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এদেশে যে পরিমাণ টাকা লু’টপাট হয়েছে তা দিয়ে সোনার সড়ক নির্মাণ করা যেত কিনা জানি না, তবে সিলভার রোড তৈরি করা যেত। হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি শুধু সেতু নির্মাণ করি না, ভিডিও করে দুর্নীতির প্রতিবাদও করি। কখনো ওসি, কখনো এসপি, কখনো রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করি। দুর্নীতিবাজ সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাই। এই প্রতিবাদের সাহস পাই আমার জন্মস্থান চুনারুঘাট থেকে। তাই জন্মস্থানের ঋণ শোধ করতে আমরা ক্রমাগত সেতু নির্মাণ করে যাচ্ছি। মানুষের জন্য কাজ করছেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ভিনরাজ মিয়ার সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক এম এ মালেক জাপানী। ব্যারিস্টার সুমন স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে ফিতা কেটে সেতুটির উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, খুব শিগগিরই তিনি তার ৩৯তম সেতুর কাজ শুরু করবেন।
হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলাধীন শানখলা ইউনিয়ন এলাকার বাজেসতং নামক গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা হুররা নদীর ওপর তার অর্থায়নে নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়া সেতুটির কারনে উপকার পেলেন ঐ গ্রামসহ আশে পাশের অনেক এলাকার হাজার হাজার মানুষ। সেখানকার বাসিন্দারা ব্যারিস্টার সুমনের এই ধরনের জনকল্যানমূলক কাজের জন্য ভূয়সী প্রসংশা করলেন এবং সেই সাথে তাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।