বাংলাদেশের সাথে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো থাকলেও বর্তমান সময়ে সেই সম্পর্কের পরিস্থিতি রূপ নিয়েছে ঘোলাটে। আর এই কারনে এ নিয়ে দেশে এখন বিরাজ করছে বেশ আতংকিত একটা অবস্থা।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমার থেকে বারবার মর্টার গোলা নিক্ষেপের বিষয়ে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীসহ সবাই সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমার থেকে বারবার মর্টার নিক্ষেপের বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী প্রধান ছাড়াও বিজিবি, কোস্টগার্ড ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই। আমরা এমন পরিস্থিতি দেখছি যেখানে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যুদ্ধ চলছে। সেই যুদ্ধের গোলাবারুদ সীমান্ত পেরিয়ে আমাদের দেশে আসছে।
হতাহতের ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের লোকজন কী ঘটছে তা নিয়ে আতঙ্কিত। সেজন্য আমরা আজ বৈঠক করেছি।
মন্ত্রী বলেন, বৈঠকের পর আমরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আমাদের জাতীয় নীতি সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়। সেখানে আমরা কখনোই যুদ্ধকে উৎসাহিত করি না। আমাদের এখানে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি হয়নি।
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িত। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে জোরপূর্বক আমাদের দেশে পাঠানো ছাড়া অন্য কোনো বৈরী আচরণ নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীসহ আমরা সবাই যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় সদা প্রস্তুত। তারা এখনও প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, তাই কাউকে গণনা করি না। আমরা এই সব বিষয় নিয়ে চিন্তা করি না। আমরা বীরের জাতি, আমরা সদা প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, তাদের দ্বারা অনেক উসকানির চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা যা দেখছি তারা নিজেরাই লড়াই করছে। সীমান্তে যা হচ্ছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এতে বাংলাদেশের কোনো ভূমিকা নেই।
প্রসঙ্গত, এ দিকে মিয়ানমারের এমন আচরণ নিয়ে বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ তাদের সতর্ক করলেও হচ্ছে না কোন কাজ। এ নিয়ে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তিনি জানিয়েছেন বলার পরেও কাজ না হলে এ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে জানানো হবে পুরো বিষয়।