হঠাৎ করে শারীরিক ভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরই সুবাধে বরাবরের মত নতুন করে তার ভাই বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসার সেবার তাগিদে বিদেশে নেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। তবে সরকার সেই আবেদনে কোন সাড়া দে্যনি। এরই লক্ষ্যে বিএনপি দলের নেতাকর্মীরা নানা ধরনের কর্মসূচি পালন করছেন। এমনকি তার চিকিৎসার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ২০ দলের নেতারা। এবার প্রকাশ্যে এলো চিঠির সেই লেখা গুলো।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ২০ দলীয় জোটের কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতা। রবিবার দুপুরে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সচিবালয়ে সাক্ষাৎ শেষে ২০ দলীয় জোটের নেতারা স্মারকলিপি দেন। যাতে খালেদা জিয়ার অসুস্থতা বিবেচনায় নিয়ে মানবিক কারণে হলেও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দিতে মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়। গত ১৩ নভেম্বর শারীরিক নানা জটিলতা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। সেখানে চিকিৎসাধীন বিএনপি প্রধানকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার জন্য সম্প্রতি সরকারের কাছে আবারও আবেদন জানিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আবেদনে সাড়া মেলেনি৷ সবশেষ শনিবার দলীয় প্রধানকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। সোমবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ইতিমধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘আমরা পাঁচটি দল নিজ উদ্যোগে এসেছি। আমাদের আবেদন ছিল, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হোক।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার সময়ে বিরোধী পক্ষের প্রতি অত্যন্ত মানবিক ছিলেন। আমরা আশা করি, তার কন্যা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীও সেই মহানুভবতা প্রদর্শন করবেন। স্মারকলিপিতে খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ এমনটা জানিয়ে জোট নেতারা বলেন, সরকার রাজনৈতিক কারণে হোক বা অরাজনৈতিক কারণে হোক বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়ায় আমরা কৃতজ্ঞ। কিন্তু তিনি এখন গুরুতর অসুস্থ। তাই রাজনৈতিক মতপার্থক্য ভুলে মানবিক কারণে হলেও তাকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দিতে আপনার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি। এমন সিদ্ধান্ত হলে তা রাজনৈতিক ইতিহাসে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নেতৃত্বে বৈঠকে ছিলেন এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির ইব্রাহিম ক্বারি আবু তাহের, জাতীয় দলের ব্যারিস্টার নুরুল হুদা, এলডিপি মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম।
বর্তমান সময়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দূনীতি মামলায় সাজা ভোগ করছেন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক মামলা রয়েছে। অবশ্যে বর্তমান সময়ে তিনি জামিনে রয়েছেন। এবং রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।