Saturday , December 28 2024
Breaking News
Home / Countrywide / স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সতর্কতায়ও লাভ হচ্ছে না, জীবন বাঁচাতে এবার এলাকা ছাড়ছেন মানুষ

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সতর্কতায়ও লাভ হচ্ছে না, জীবন বাঁচাতে এবার এলাকা ছাড়ছেন মানুষ

বারবার সতর্ক করা সত্তেও কোনো ভাবেই থামছে না সীমান্তে গোলা বারুদ নিক্ষেপ। আর এরই জের ধরে জীবন বাঁচাতে এবার এলাকা ছাড়তে শুরু করেছেন বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের বাসিন্দারা। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এব্যাপারে মিয়ানমারকে সতর্ক করা হয়েছে। যদি এরপরও সীমান্তে গোলা বারুদ নিক্ষেপ করা হয়, তাহলে জাতিসংঘে অভিযোগ জানাবেন বলে জানান তিনি।

শুক্রবার রাতে তুমব্রু কোনারপাড়া গ্রাম ও শূন্যরেখায় মিয়ানমারের ছোড়া অন্তত ১১টি মর্টার শে’ল পড়ে। শেল বিস্ফোরণে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা কিশোরের ‘মৃ’ত্যু’ হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৬ রোহিঙ্গা। রাতভর মিয়ানমার থেকে গো’লাগু”লির শ’ব্দ ভে’সে আসে।

গত ৫ বছর ধরে কোনারপাড়া শূন্যরেখায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করছে। আর সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে দশ হাজারের বেশি বাংলাদেশির বসবাস। এখন আ’ত’ঙ্কে’ দিন কাটছে তাদের। কোনারপাড়া গ্রামের ৫০টি পরিবার ইতিমধ্যে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ দূরত্বে চলে গেছে। ওই বাড়ির অধিকাংশ নারী ও শিশু আশপাশের এলাকায় আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আ’শ্র’য় নিয়েছে।

“মিয়ানমারের বড় হেলি’ক’প্টার ঘোরাফেরা করছে এবং বো’মা ফে’লছে, মাঝে মাঝে বড় সাদা জে’ট দেখা যাচ্ছে, তাই সবাই আ’ত’ঙ্কে আছে,” বলেছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

স্থানীয়রা বলছেন, রাতভর গো’লা’গু’লি চলছে।

নাইক্ষ্যংছড়ির, ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, “লোকজন অনেকেই আগেই ভয়ে এলাকা ছেড়েছে, পরে আমরাও সরে এসেছি।”

গত এক মাসেরও অধিক সময় ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সারা রাত-দিন গোলাগুলির শব্দে রীতিমতো আ’তঙ্ক’গ্রস্থ হয়ে পড়েছেন সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষ। দিনের পর দিন অবস্থা আরো বেগতিক হওয়ায় জীবন বাঁচাতে শেষমেষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন সবাই।

About Rasel Khalifa

Check Also

খেজুরের রস পান করতে এসে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, গ্রেফতার ১৫

নেত্রকোনা থেকে খেজুরের রস খেতে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া আসা ১৫ যুবক ‘জয় বাংলা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেওয়ায় …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *