সম্প্রতি স্ত্রী মিতু হ/ত্যাকে কেন্দ্র করে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার সম্পৃক্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা সৃষ্টি হয়। বর্তমানে সেই মামলায় কারগারে বিচারাধীন অবস্থায় আসেন তিনি। এই মামলায় তদন্ত শেষে পিবিআই রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। আইনের লোক হওয়ায় বাঁচার জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করার বিষয়টি নিয়েও গনমাধ্যমে লেখালেখি হয়েছে এবং তার বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলেছেন। এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড . আসিফ নজরুল পাঠকদের জন্য সেটি হুবাহু নিচে দেওয়া হলো।
মিতু হ/ত্যাকান্ড
চট্টগ্রামে মাহমুদা খানম মিতু হ/ত্যাকান্ড নির্মম ও রহস্যজনক হ/ত্যাকান্ড। এই মামলায় তার স্বামী সাবেক এসপি বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ (পিবিআই)।
কিন্তু আমি কিছুতেই বুঝতে পারিনা বাবুল অন্য কোথাও না করে তার নিজের সন্তানের সামনেই স্ত্রীকে কু/পিয়ে হ/ত্যা করাবে কেন? নিজের শিশুসন্তানের সামনে এমন পাশবিক ঘটনা কেউ ঘটাতে পারে?
স্ত্রীকে খু/ন করার পেছনে বাবুলের মোটিভই বা কি? তার সাথে অন্য মেয়ের সম্পর্ক ছিল বলা হচ্ছে। এজন্য স্ত্রীকে খু/ন করাটা কেন প্রয়োজন হলো তার? আর মিতুর বাবা বা খু/নী বলে অভিযুক্ত মুসার বউ-এর বক্তব্য পরে বদলে গেল কেন?
প্রশ্ন আরো আছে। পিবিআই-এর প্রধান বনজ কুমারের বিরুদ্ধে বাবুল অভিযোগ করামাত্র পুলিশের ওসি তাকে তল্লাশী করতে কেন কারাগারে গেলেন? সঙ্গে সঙ্গে খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীই বা বাবুল সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলা শুরু করলেন কেন?
আশা করবো সুষ্ঠু বিচারের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের সুরাহা হবে, মিতু হ/ত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটিত হবে।
এটাও আশা করবো যে ‘মিতু হ/ত্যার দায় জ/ঙ্গীদের’ এই ধুয়া তুলে যারা নির্বিচারে মুসুল্লীদের গ্রেফতার করেছিল তাদেরও বিচার হবে একদিন।
প্রসঙ্গত, সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের বিষয়টি নিয়ে এতো আলোচিত হওয়ার পিছনে কি রহস্য রয়েছে যে একের এক বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে প্রশ্ন ড . আসিফ নজরুল। তিনি আরোও বলেন, তার হ/ত্যার প্রকৃত বিচার হওয়ার প্রত্যাশা কি করা যায়।