Thursday , November 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / স্বভূমির সীমানায় কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার : বিএনপি

স্বভূমির সীমানায় কাউকে শান্তিতে রাখেনি আওয়ামী সরকার : বিএনপি

বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্য নিহতের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতারা। দলটির নেতারা বলেন, মাতৃভূমির সীমান্তে আওয়ামী সরকার কাউকে শান্তিতে রাখেনি। আওয়ামী মন্ত্রীদের ক্ষমতা দখল নাগরিকদের জীবনের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। দেশবাসীকে পরাধীন রেখে ক্ষমতা ভোগ করাই আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শ।

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতারা এসব কথা বলেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্ধুপ্রতীম দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে এখন বাংলাদেশের সাধারণ নাগরিক ও সীমান্তরক্ষীদের প্রাণহানি ঘটছে। ভারত একটি গণতান্ত্রিক দেশ হলেও এর নীতিনির্ধারকেরা গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের গভীরতা অর্জন করতে পারেননি। এ কারণে বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধ হত্যাকাণ্ডে তারা কোনো দায়বোধ করে না। কাঁটাতারে ঝুলন্ত ফেলানীর মৃতদেহের হৃদয়বিদারক দৃশ্য আজও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে জ্বলছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিশ্বের সবচেয়ে সহিংস ও রক্তস্নাত। ভারতের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের হাতে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২১ জানুয়ারি ভোরে জলেপাড়া চৌকি সংলগ্ন এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইসুদ্দিন নিহত হন। যশোর সীমান্তের ধান্যাখোলা বিওপির। গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির খবর প্রকাশিত হচ্ছে। মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, গত ৭ বছরে বিএসএফের গুলিতে ২০১ জন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সিপাহী মোহাম্মদ রইশউদ্দিনকে হত্যার পর বিএসএফের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও।

তারা বলেছে যে বিএসএফ বলেছে যে তারা বুঝতে পারেনি যে সে (নিহত) বিজিবি সদস্য, তার পরনে লুঙ্গি এবং টি-শার্ট ছিল এবং চোরাকারবারী দলের সাথে তাকে ভারতীয় সীমান্তের ভিতরে দেখা গেছে। একজন বিজিবি সদস্য কীভাবে লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরে চোরাকারবারি চক্রের সঙ্গে মিশতে পারে তা বোঝার বাইরে। তাদের এই বক্তব্য শুধু মিথ্যাই নয়, বিএসএফ তাদের হত্যাকাণ্ডকে ন্যায্যতা দিচ্ছে, ‘বিগ ব্রাদার’ ভারতীয় নীতিনির্ধারকদের সহজ প্রতিপত্তি দ্বারা উৎসাহিত। একজন বিজিবি সদস্য কখনই লুঙ্গি ও টি-শার্ট পরতে পারে না চোরাকারবারী চক্রের সাথে।

তারা আরও বলেন, ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থা মাসুমও বিএসএফের মন্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। বিএসএফের এমন আচরণের ইতিহাস নৃশংস ও রক্তাক্ত। বিএসএফ-এর অপরাধ এবং বক্তব্যের মধ্যে সর্বদাই ব্যবধান রয়েছে। তাদের আচরণে মনে হয় তারা আদিম ও মধ্যযুগ অতিক্রম করেনি।

ভারতের উচ্চাভিলাষী নীতির কারণে সীমান্তে রক্তপাত বন্ধ হচ্ছে না বলেও দাবি করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। তাদের মতে, বিএসএফ বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকাকে ‘রক্তের খেলায়’ পরিণত করেছে। বাংলাদেশের জনগণকে নতজানু করে রাখা এক আধিপত্যের বার্তা।

বিএসএফের ‘ইচ্ছাকৃত হত্যা’ এখন সর্বজনবিদিত উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেন, দিল্লির হিংস্রতা এবং ঢাকার নীরবতাই এই অনিয়ন্ত্রিত হত্যাকাণ্ডগুলোকে প্রকাশ করেছে। দিল্লির সাথে শেখ হাসিনার অধীনস্থ চিরস্থায়ী ‘রাজনৈতিক সমঝোতার’ ফলে সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যার বিষয়ে বিএসএফের নীরবতা রয়েছে।

About Rasel Khalifa

Check Also

উপদেষ্টা পরিষদেই বৈষম্য

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে আঞ্চলিক বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে। ২৪ সদস্যের এই পরিষদে ১৩ জনই চট্টগ্রাম …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *