অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে পাঁচজনই মাদারীপুরের রাজৈরের বাসিন্দা। মঙ্গলবার সকালে লিবিয়ার দূতাবাস থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেছেন নিহতদের স্বজনরা।
স্বজনরা জানান, গত ১৪ জানুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা ও গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে বেশ কয়েকজন যুবক ইতালির উদ্দেশে বাড়ি ছেড়ে যায়। পরে বুধবার তারা দালালদের মাধ্যমে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় লিবিয়া ত্যাগ করে।
তিউনিসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নৌকার ইঞ্জিন বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে নৌকাটি সাগরে ডুবে যায়। এতে সজিব কাজী, মামুন শেখ, সজল বৈরাগী, নয়ন বিশ্বাস, কাওসার, আপন, রাসেল ও রিফাদ মারা যান। এ ছাড়া একজন পাকিস্তানি নাগরিকও মারা গেছেন। খবর পেয়ে স্থানীয় কোস্টগার্ড কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করে। নিহতের খবর বাড়িতে এলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহতরা হলেন রাজৈর উপজেলার সজল শেনদিয়া গ্রামের সুনীল বৈরাগীর ছেলে সজল বৈরাগী, একই উপজেলার কদমবাড়ি উত্তরপাড়া এলাকা পরিতোষ বিশ্বাসের ছেলে নয়ন বিশ্বাস উপজেলার সরমঙ্গল গ্রামের ইউসুফ আলি শেখের ছেলে মামুন শেখ, একই উপজেলার বাজিতপুর নতুন বাজার এলাকায় মিজানুর কাজির ছেলে সজীব কাজি ও কবিরাজপুর ইউনিয়নের কেশরদিয়া গ্রামের কাওসার।
স্বজনরা জানায়, মানব পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের গজারিয়া গ্রামের রহিম শেখ ও রাঘাদী ইউনিয়নের সুন্দরদী গ্রামের বাদশা কাজীর ছেলে মোশাররফ কাজী ইউরোপে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-১৫ লাখ টাকা নেন। . পরে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে মোটর বোটটি ইতালিতে পাঠানোর সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মাসুদ আলম জানান, তিউনিসিয়ায় ভূমধ্যসাগরে ডুবে মাদারীপুরের ৫ জনসহ বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।